VIP-দের গাড়িতে অস্ত্র পাচার! বিজেপি-র ‘ডিসেম্বর ধামাকা’ নিয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

মমতা বলেন, এগুলি আমাদের কেউ করছে না। কিন্তু বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন বা অন্যদলের তাঁরা এটা করছে। এবিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ।

ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে রাজনৈতিক ধামাকা হবে বলে হাওয়া গরম করছে বিজেপি। ওই সময় বাংলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরির ষড়যন্ত্র হতে পারে। এবিষেয় আগেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার, রানাঘাটে নদিয়া জেলার প্রশাসনিক সভায় এই বিষয়ে নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের থেকে শুরু করে দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, VIP-দের গাড়িতে অস্ত্র-টাকা পাচার হচ্ছে। নাম না করলেও তাঁর নিশানা বিরোধীদের দিকে। মমতা বলেন, এগুলি আমাদের কেউ করছে না। কিন্তু বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন বা অন্যদলের তাঁরা এটা করছে। এবিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ।

এদিন সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর্নাটকেও অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বাংলাতেও একই ছক কষা হচ্ছে। মমতা বলেন, “এখন থেকে সাম্প্রদায়িক এলাকাগুলিকে দেখে রাখুন। কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে যে, ডিসেম্বর থেকে ধামাকা, মানে সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ লাগাবে। কর্নাটকে ইতিমধ্যেই লাগিয়েছে। এটা বাঁচার পথ নয়। চৈতন্য়দেবের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি, জীবনটা শান্তির পথ। এটা মাথায় রাখতে হবে।”

এরপর বলতে উঠে সাংসদ আবু তাহের অভিযোগ করেন, খুব সামন্য ঘটনাকেও রাজনৈতিক রং ছড়িয়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গ টেনে মমতা অভিযোগ করেন, অনেক ভিআইপি-দের গাড়িতে কালো পোশাক পরা নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘেরাটোপে অস্ত্র পাচার ও কালো টাকা পাচার হচ্ছে। নাম না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় যে বিজেপি তা স্পষ্ট। কারণ মমতা বলেন, মমতা বলেন, বিহার থেকে ১ হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে। বিভিন্ন সীমান্ত থেকে অস্ত্র আসছে। উত্তরবঙ্গে ছত্রভঙ্গ করতে সীমান্ত থেকে অস্ত্র আসছে। এগুলি আটকাতে হবে। এই বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিষয়ে কড়া নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ। একই সঙ্গে দলের নেতা-মন্ত্রীদেরও সজাগ থেকে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা বলেন তিনি।