Monday, November 10, 2025

সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা! CAA নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘেও আক্রমণের মুখে মোদি সরকার

Date:

CAA নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে কেন্দ্রের মোদি সরকার। দেশের মধ্যে অবিজেপি দলগুলির সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা তো ছিলই, এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘেও এই বিষয় নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠল ভারতের দিকে। ইউরোপের কমপক্ষে ৮টি দেশ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যদিও রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি দেশের সলিসিটেড জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Meheta) এই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেন।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার রক্ষা কমিশনের বৈঠকে আমেরিকা (America), বেলজিয়াম-সহ একাধিক দেশ CAA নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে সিএএ-এর বিরোধিতা করে অভিযোগ করা হয়েছে এর ফলে ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, এর জেরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে পারে। ভারতে একের পর এক সাংবাদিকদের উপর কেন্দ্রীয় হেনস্থার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেলজিয়াম। তাদের অভিযোগ, মোদি জমানায় সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।

তবে শুধু বেলজিয়াম নয়, আমেরিকা, স্পেন (Spain), কানাডা (Canada), পানামা এইসব দেশের প্রতিনিধিরাও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) মানবাধিকার কাউন্সিলের এক মুখপাত্রের অভিযোগ, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন ভারতের মানুষের মধ্যে বৈষম্যের সৃষ্টি করবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই ২০১৯-এ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন তৈরি হয়। ফলে বিল আইনে পরিণত হওয়া সত্ত্বেও তা চালু করার সাহস দেখায়নি কেন্দ্র। তবে, গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১৯৫৫ সালের আইনের মোতাবেক নাগরিকত্ব আইন কার্যকারের কথা ঘোষণা করেছে। তাতে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি গুরুনানক জয়ন্তীতে CAA-এর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর মতে, মানবাধিকার রক্ষার জন্যেই এই আইন কার্যকর করা জরুরি। তবে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের বৈঠকে আমেরিকার-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ নাগরিকত্ব আইন প্রশ্ন তোলায় দেশের মতো বাইরেও চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে তুষার মেহতা বলেন, সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনও রাষ্ট্র বা বিদেশী সংগঠনের ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। দেশের সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি, কয়েকটি ধর্মের মানুষদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে যাঁরা অন্যান্য দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে নিপীড়িত। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনে এইভাবে প্রশ্নের মুখে পোড়ার পর দেশে সিএএ চালুর বিষয় মোদি সরকার আরও কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...
Exit mobile version