চলতি কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্স ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যদের খেলা দেখতে আসা, থাকা, খাওয়া, ভ্রমণ ইত্যাদির সমস্ত খরচ বহন করতে হবে তাঁদের নিজেদেরই। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের নীতির পরিবর্তনের কারণেই মূলত নিজ খরচে পরিবারের লোকেদের বিশ্বকাপ দেখার খরচ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকেই।
আরও পড়ুন:ফুটবল নয়, কাতারে দাবার লড়াইয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু মেসি-রোনাল্ডোর
গতবারের রাশিয়ায় বিশ্বকাপে খেতাব ঘরে তুলেছিল ফ্রান্স। সেবার ডেনমার্কের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচ থেকে প্রতিটি ম্যাচ ভেন্যুতে খেলোয়াড়দের পরিবারের ভ্রমণের খরচ বহন করেছিল ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন।
ম্যাচের দিন ব্যক্তিগত বিমানে ফ্রান্স দলের খেলোয়াড়দের পরিবার এবং সঙ্গীরা প্যারিস থেকে রাশিয়ায় উড়ে আসতেন। পাশাপাশি ফ্রান্স দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করার পর দলের সদস্যদের তাঁদের সঙ্গীদের সঙ্গে সময় কাটানোর অনুমতিও ছিল। পরে বিশ্বকাপ জেতার পর খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিশ্ব জয়ের সেলিব্রেশনে সঙ্গী হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরাও।
তবে ফ্রান্সের খেলায় পরিবার ও সঙ্গীদের যাতায়াত খরচ দেওয়ার নীতি থেকে সরে আসে ফেডারেশন। এই নীতি পরিবর্তন করা হয় ২০২১ সালে। নীতি পরিবর্তনের কারণ হিসেবে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আর এমন ভ্রমণ আয়োজন করতে পারবে না।
এ ছাড়া চলতি বছর ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের খরচ কমানো জরুরি ছিল। সব মিলিয়ে পরিবার ও সঙ্গীদের খেলা দেখাতে সেই ব্যবস্থা এখন খেলোয়াড়দের নিজেদেরই করতে হবে।
তবে ফ্রান্স যদি পরের রাউন্ডে উত্তীর্ণ হতে পারে, তবে দিদিয়ের দেশম খেলোয়াড়দের তাঁদের সঙ্গীদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়ে রেখেছেন। পাশাপাশি কাতারের রাজধানী দোহায় দুজন লোকও আছেন, যাঁরা ভিসা সংক্রান্ত কাজ এবং এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে খেলা দেখতে যাওয়ার ব্যাপারে খেলোয়াড়দের পরিবারকে সাহায্য করবেন।
তবে কাতার বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্য বা সঙ্গীদের বিমান খরচ তাঁদের নিজেদেরই বহন করতে হবে। দলের সদস্যরা অবশ্য ফেডারেশনের সঙ্গে তাঁদের কাছের মানুষদের কাতার আসার ব্যাপারে সহায়তা করার জন্যও রাজি করানোর চেষ্টা করছেন বলে জানা গিয়েছে।