প্রকাশ্যে অনুপ মাজির বয়ানের ‘আসল’ অংশ! বিজেপির মিথ্যাচারের মুখোশ খুললেন কুণাল

অনুপ মাজির বয়ানের আসল অংশ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবিরের মিথ্যাচারের পর্দা ফাঁস করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে 'নীল রং' নিয়েই বারবার প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, এটা যখন ইডি অফিসে তৈরি হয়েছে তখন কী কোনও অফিসার ফোনে তুলে শুভেন্দু বা বিজেপির কোনও অফিসে পাঠিয়েছেন? এটা হয় জাল নাহলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকে পরিকল্পিতভাবে এটা বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

কয়লা পাচার মামলায় ধৃতরা নাকি জেরায় রাজ্যের এক অতি প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম করেছেন। এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এই মামলায় ধৃত অনুপ মাজির বয়ানের আসল অংশ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবিরের মিথ্যাচারের পর্দা ফাঁস করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বুধবার, নিজের টুইটার হ্য়ান্ডেলে (Twitter Handle) কুণাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে অনুপ মাজির (Anup Maji) দেওয়া বয়ানের ৩ নম্বর প্রশ্ন-উত্তরের ছবি দেন। সেখানেই স্পষ্ট তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে চিনতেনই না অনুপ মাজি। তাঁকে ‘AB’-র নাম করে ধমক দেওয়া হত। যার পিছনে রয়েছেন বিনয় মিশ্র। কিন্তু অভিষেকের সঙ্গে কোনও দিনই কোনও ভাবে যোগাযোগ হয়নি অনুপের।

কুণাল লেখেন, “অভিযোগপত্রের নামে কিছু বিকৃত প্রচার চালাতে চাইছে বিজেপি। শুধুমাত্র অপমান করার জন্য ২ নম্বর প্রশ্ন প্রকাশ করা হচ্ছে, ৩ নম্বরটি চাপা দিয়ে। গত ৪-৫ দিন থেকে পেগাসাস তাঁর উদ্দেশ্য প্রমাণ করে মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এটিকে প্রচার করছে। এখন আমি তাদের ৩ নম্বর প্রশ্ন দিলাম। দয়া করে পড়ুন”।

এর সঙ্গেই তিনটি কাগজের ছবি দেন তিনি। সেখানেই অনুপ মাজি স্পষ্ট জানাচ্ছেন তাঁকে ‘AB’-র নাম করে হুমকি দেওয়া হত। বিনয় মিশ্র যেটা বলতেন সেটাই হত। অনুপ জানতেন ‘AB’ মানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভয়ে তিনি টাকা দিতেন। এরপরেই তদন্তকারীরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, বিনয় মিশ্র, বিকাশ মিশ্র, আকাশ মিশ্রর মাধ্যমে তুমি কি অভিষেক বা তাঁর কোনও সহকারীর সঙ্গে কথা বলেছ? উত্তরে অনুপ জানান, কোনও দিন তাঁর সঙ্গে অভিষেকের সরাসরি কথা হয়নি বা কোনও যোগাযোগ হয়নি।

এদিন প্রথমে টুইট করে এবং পরে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। কুণাল অভিযোগ করেন, চার্জশিটের যে অংশ পরিচিত বলে সামনে এল সেই ২ নম্বর প্রশ্ন নীল কালিতে লেখা। কিন্তু ৩ নম্বর প্রশ্নের রং সাদা কালো। আর এই নিয়েই প্রশ্ন তুলে কুণালের অভিযোগ, যদি এটা মূল চার্জশিটের অংশ হয়েই থাকে তাহলে মূল চার্জশিটের সঙ্গে এত ডকুমেন্টস যায় না। আর কোর্ট যখন কাউকে কপি সার্ভিস করে সেটা জেরক্স থাকে। আর জেরক্স থেকে যদি কেউ নেয় সেটা অবশ্যই সাদা কালো আসবে। কিন্তু এখানে নীল হল কী করে? এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ‘নীল রং’ নিয়েই বারবার প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, এটা যখন ইডি অফিসে তৈরি হয়েছে তখন কী কোনও অফিসার ফোনে তুলে শুভেন্দু বা বিজেপির কোনও অফিসে পাঠিয়েছেন? এটা হয় জাল নাহলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকে পরিকল্পিতভাবে এটা বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। না হলে নীল পেনে লেখা কাগজ ঘুরছে কী করে? এরপরই কুণাল জানান, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে তদন্ত চেয়ে ক্রিমিনাল কেস ফাইল করছেন। পাহাপাশি কুণালের অভিযোগ, সিবিআই ইডির অফিসে এসব হচ্ছে ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের পরিষ্কার কথা যেটা চার্জশিট বলে চালানো হচ্ছে সেটা নীল কালির হল কী করে? সার্টিফায়েড কপি হলে সেটা অবশ্যই সাদা কালো হত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা উঁচু করে লড়ছেন। আর তা দেখে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ দিল্লি থেকে এসে অভিষেককে আক্রমণ করছেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয় অভিষেককে রীতিমতো ভয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির।

এর থেকেই প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব অ্যান্ড কোম্পানি যে অভিষেকে নাম জড়িয়ে যে অপপ্রচার চালাতে চাইছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই।

 

 

Previous articleবকেয়া DA এর দাবি, কোঅর্ডিনেশন কমিটির অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার রাজপথ
Next articleবিশ্বকাপের মধ্যেই ম্যান ইউয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন রোনাল্ডোর! কী বললেন CR7