অ্যাক্রোপলিস “কলকাতা ফ্রাইস” ফ্রায়েড ফুড ফেস্টিভ্যাল ২০২২

বাঙালির চপ আর তেলেভাজার প্রতি বরাবরই দুর্বলতা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শীতের পারদ সবে মাত্র চড়ছে তিলোত্তমাতে, আর তার শুরুতেই অ্যাক্রোপলিস মলে শুরু হল তিনদিনের ফ্রায়েড ফুড ফেস্টিভ্যাল অর্থাৎ “কলকাতা ফ্রায়েস”। ২৫ নভেম্বর শুক্রবার কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে এই ফ্রায়েড ফুড ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হয়। ফিসফ্রাই, চিকেন কাটলেট, জিভে জল আনা মোমো, মিষ্টি থেকে শুরু করে আইসক্রিম- প্রায় সবরকম জিভে জল আনা খাবারই রয়েছে ‘ফ্রায়েড ফুড’ ফেস্টিভ্যালের মেনুতে। মাত্র তিনদিনের এই লোভনীয় খাবার খেতে দেরি না করে ঝটপট চলে আসতেই হবে অ্যাক্রোপলিস মলে। শুক্রবার ২৫ থেকে রবিবার ২৭-ই নভেম্বর প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১০টি কাউন্টারে এই সব লোভনীয় খাবার পাওয়া যাবে। কমিউনিটি পার্টনার হিসাবে রয়েছে ভোজ আড্ডা এবং রেডিও পার্টনার ফিভার ১০৪ এফ এম ।

অ্যাক্রোপলিস মলের জিএম কে বিজয়নের হাত ধরে এই ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের পরে ফুড ফেস্টিভ্যাল নিয়ে অ্যাক্রোপলিস মলের জিএম কে বিজয়ন বলেন-, “অ্যাক্রোপলিসে আমরা বিভিন্ন ধরণের উৎসবের আয়োজন করছি। “কলকাতা ফ্রাইস” নামের ফুড ফেস্টিভ্যালটি এই বছর প্রথম শুরু হল। আশা রাখি দারুণ সাফল্য পাবে এবং আমরা আমাদের অতিথিদের পছন্দের আধিক্য দিয়ে সন্তুষ্ট করার আশা করি। তাই আমরা কলকাতার ভোজনরসিকদের কথা মাথায় রেখে এই উৎসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা খাদ্যরসিক তাঁদের কথা ভেবেই এই আয়োজন করেছি।”

কলকাতা সুস্বাদু মাম্বোজ, ক্যালকাটা ডেলিসিয়স, গো লেবানিজ, ডিমওয়ালা, বাডি বাইটস, সেনগুপ্তা ক্যাটারার, বাংলার দই, রয় প্যান প্যালেস, তুর্কিসি-য়ানো এবং নলিন চন্দ্র দাস এন্ড সন্স এর মতো নামিদামি ফুড উদ্যোক্তারা তাদের খাবারের সম্ভার নিয়ে হাজির রয়েছেন এই ফ্রায়েড ফেস্টিভ্যালে।

প্রসঙ্গত, মার্লিন গ্রুপের তৈরি ‘অ্যাক্রোপলিস মল’টি ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়। এটি একটি আইকনিক স্থাপত্যের মাস্টারপিস যা একটি কাঁচের সামনের দিকে ঢাকা এবং এর উচ্চতা সাড়ে চার লক্ষ বর্গফুট। বিশাল এই এলাকায় পাঁচটি স্তরের পার্কিংয়ের সুবিধা রয়েছে। মলটিতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষের ভিড় জমে। অ্যাক্রোপলিস মল হল কলকাতার প্রথম মল যেখানে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে৷ কলকাতার অত্যাধুনিক মলগুলির মধ্যে একটি যেখানে পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রনিক গেজেট, গহনা, লাগেজ, প্রসাধনী, মুদি জিনিসপত্র, খাবারের আইটেম ও সেলুনের ৬২টিরও বেশি বিখ্যাত ব্র্যান্ড রয়েছে। এছাড়া চার স্ক্রিন মাল্টিপ্লেক্স, প্রশস্ত ফুড কোর্ট, ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁ, পরিবার এবং শিশুদের বিনোদন জোন সহ এই মলটি পরিবারের একটি উপযুক্ত গন্তব্য।

অ্যাক্রোপলিস গত পাঁচ বছরে বেশ কিছু আকর্ষণীয় ইভেন্ট, ফ্যাশন শো, সাংস্কৃতিক উৎসব এবং জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের আয়োজন করে আসছে এবং একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট সংস্থা হিসেবেও কমিউনিটিতে অবদান রেখেছে। এটি রুবি হাসপাতালের আশেপাশে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য পুরানো কাপড় সংগ্রহ করার একটি উদ্যোগ নিয়েছে এবং তাদের জন্য কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নামক এনজিও কে দায়িত্ব দিয়েছে।

আরও পড়ুন- শুধুমাত্র পদ্ধতিগত ত্রুটিতে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র: প্রদীপ

Previous articleশুধুমাত্র পদ্ধতিগত ত্রুটিতে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র: প্রদীপ
Next articleআগামিকাল হায়দরাবাদের মুখোমুখি এটিকে মোহনবাগান