নজর মহিলা ভোট! মোদি রাজ্যে ১,৬২১ প্রার্থীর মধ্যে মহিলা প্রার্থী মাত্র ১৩৯

আসন্ন গুজরাট নির্বাচনে বিজেপির নজর মহিলা ভোটের উপর। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে পদ্ম শিবির। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেও গুচ্ছ গুচ্ছ ইস্তাহারও লেখা হয়েছে। নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নতুন গুজরাটের স্বপ্ন দেখাচ্ছে পদ্ম থেকে হাত শিবির সকলেই। অথচ মোদি রাজ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা চোখে পড়ার কম। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, গোটা রাজ্যে মোট ১,৬২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা মাত্র ১৩৯ জন!

আরও পড়ুন:নির্বাচনের আগেই গুজরাটে সহকর্মীর ছোড়া গুলিতে নিহত আধাসামরিক বাহিনীর ২ জওয়ান

গুজরাটে ১৮২ আসনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ১ এবং ৫ ডিসেম্বর। শাসক দলকে ফেলতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস-বিজেপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। প্রতিটি দলই নিজেদের মত করে তাদের প্রচার চালাচ্ছে। যদিও গুজরাটের বিধানসভা ভোটে মহিলাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি যেন প্রদীপে তলায় অন্ধকারের মতোই। মোদি রাজ্যে ১,৬২১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন বিধানসভার ১৮২টি আসনে। তার মধ্যে মহিলার সংখ্যা মাত্র ১৩৯। অর্থাৎ সাড়ে ৮ শতাংশ। তার মধ্যে ৫৬ জন মহিলা লড়ছেন নির্দল হিসাবে।

এ বিষয়ে বরোদার সায়াজিগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী আমি রাভাত বলেন, ‘‘সংসদে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের বিলটি পাস হলেই মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বেড়ে যাবে।’’ আর বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রধান দীপিকাবেন সারভাদা বলছেন, ‘‘বিজেপি ইতিমধ্যেই মহিলাদের সামনে আনার কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারই উদাহরণ দেশের রাষ্ট্রপতি পদে এক জন আদিবাসী মহিলার উপস্থিতি।’’
নির্বাচন কমিশনের নথি বলছে, ২০১৭-এর বিধানসভা ভোটে গুজরাটে ১৮২ আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ১২ জন মহিলাকে টিকিট দিয়েছিল। এ বার তা বেড়ে ১৮ হয়েছে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ২০১৭-য় মহিলা প্রার্থী ছিলেন ১০ জন, এ বার তা বেড়ে হয়েছে ১৪। দুই দলেরই মহিলা প্রার্থীদের সিংহভাগ দলিত বা আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত।

বিগত বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাটে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮২৮ জন। তার মধ্যে ১২৬ জন ছিলেন মফিলা। ,আত্র ১৩ জন মহিলা প্রার্থী জিতেছিলেন। জয়ী মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে ৯ জন বিজেপির এবং ৪ জন কংগ্রেসের।
তবে এবার কী হবে? গুটিকয়েক যে মহিলা প্রার্থী লড়াই করছেন, তাঁদের মধ্যে কতজন জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন? মোদি রাজ্যে মহিলাদের লড়াই কি রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও বেশি করে মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে? নাকি সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের দোহাই দিয়ে পরিস্থিতি একই থেকে যাবে।তাই এখন দেখার অপেক্ষায়।