বিধানসভায় মমতা-শুভেন্দু সৌজন্য: ‘গোঁসা করে’ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি রাজকমলের

বিধানসভায় মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) পরে এবার ‘গোঁসা’ প্রাক্তন সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠকের (Rajkamal Pathak)। তবে, শুধু মন্তব্য করাই নয়, এই নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি লিখেছেন রাজ‌্য বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সহ-সভাপতি রাজকমল। বি এল সন্তোষকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

প্রথমে বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে শুভেন্দু অধিকারীর যাওয়া এবং তারপর তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Bandyopadhyay) দিব্যেন্দু অধিকারীর (Dibyendu Adhikari) শান্তিকুঞ্জে চা পানের আমন্ত্রণ। এসবের জেরে নাকি নীচুতলার বিজেপির কর্মীদের মধ্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজকমল। তাঁর মতে, সৌজন‌্য সাক্ষাৎ হতেই পারে কিন্তু বিরোধী দলনেতা পায়ে হাত দিয়ে মুখ‌্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেছেন- এটা তিনি মানতে

পারছেন না। বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতির মতে, এইভাবে চললে বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। অবিলম্বে বিবৃতি দিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন রাজকমল। তবে, চিঠিতে কারও নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল এখন প্রকাশ্যে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সাক্ষাৎ নিয়ে টিপ্পনি কেটেছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। আবার একদা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এখন বিরোধীদল নেতার মুখোমুখি হচ্ছেন না। এর আগেও বঙ্গ বিজেপির হাল নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে চিঠি লিখেছেন এ বাংলার নেতারা। বিজেপির পায়ের তলায় জমি নেই বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন সায়ন্তন বসু-সহ অনেকেই। রাজ্যে কোনও গণ আন্দোলনই নেতারা সংঘটিত করতে পারছেন না। বা রাজনীতিতে তার কোনও ছাপ ফেলতে পারছেন না বলে স্পষ্ট অভিযোগ জানিয়েছেন আদি বিজেপি নেতৃত্ব। এভাবে চলতে থাকলে পঞ্চায়েত ভোটে তারা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবেন বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে সেই সব চিঠিতে। বিজেপি নেতাদের বক্তব্যেও বারবার সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সাক্ষাৎ নিয়েও কোন্দল চলছে।

আরও পড়ুন- ‘রাজ্যে ৩২ লক্ষ মানুষ বিধবা-বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন’, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী শশী পাঁজা

 

Previous article‘রাজ্যে ৩২ লক্ষ মানুষ বিধবা-বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন’, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী শশী পাঁজা
Next articleক‍্যাসেমিরোর দুরন্ত গোলে সুইজারল্যান্ডেকে ১-০ গোলে হারাল ব্রাজিল