Thursday, August 28, 2025

মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা, সমস্ত বিধায়কদের আলিপুর জেল মিউজিয়াম ঘুরিয়ে দেখাবেন ফিরহাদ

Date:

ঐতিহাসিক আলিপুর জেল এখন গোটাটাই মিউজিয়াম। স্বাধীনতা আন্দোলনের সাক্ষী বহন করা এই জেল মিউজিয়াম আবার পরিদর্শন করবেন রাজ্যের বিধায়করা।
আগামিকাল, বুধবার বিধায়কদের আলিপুর জেল মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হবে। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার পর প্রত্যেক বিধায়ককে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হবে জেল মিউজিয়ামে। বিধানসভায় আজ, মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, তাই এই ব্যবস্থা বলে জানালেন মন্ত্রী। তৃণমূল বিধায়করা গেলেও বিজেপি বা বিরোধী বিধায়করা যাবেন কিনা তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে।

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে আলিপুর কারাগারের সুনাম ছিল বিস্তর। ব্রিটিশ শাসনকালে এই কারাগারেই বিভিন্ন সময়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নজরুল ইসলাম, বিধানচন্দ্র রায়, জওহরলাল নেহেরু, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বন্দিদের।

হাইকোর্টের নির্দেশ ও রাজ্য সরকারের প্রস্তাবমত আলিপুর জেলের ১০৮ একর জমিতে মিউজিয়াম তৈরি হয়। পুজোর আগেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।ঐতিহ্যবাহী ভবনটিতে আগে আলিপুর জেল প্রেস ছিল। সেটি তুলে নিয়ে সরস্বতী প্রেসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, হেরিটেজ সাইটকে অক্ষত রেখেই নতুন নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে মিউজিয়াম।

এই সংগ্রহশালাটি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত এই জেলেই ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন বিপ্লবী দীনেশ মজুমদার, দীনেশ গুপ্তেরা। তবে যে সব ঘরে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বন্দি ছিলেন, সেইসব ঘরগুলিকে আগেই হেরিটেজ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

আলিপুর জেল মিউজিয়ামের মূল আকর্ষণ হল সেই সেল যেখানে এই মুক্তিযোদ্ধাদের রাখা হয়েছিল। অনেকটা আন্দামান ও নিকোর দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার জেলের মতন অনুভূতি পাবেন এখানে। এদিকে, আলিপুর সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোমটিও ১১৬ বছরের পুরনো। ২০১৮ সালের জুন মাসে সাময়িকভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের এক জি+১ কারাগাররে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

 

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version