২৪ ঘণ্টাও কাটল না! বৃহস্পতিবারই অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ SSC-এর

কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, সংরক্ষিত তালিকাতেই অযোগ্য প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি চাকরি পেয়েছেন। এমনকী, এই তালিকায় রয়েছেন এমন ৭৫-৮০ শতাংশ প্রার্থীরা বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত। তবে গুরুত্বপূর্ণভাবে ১৮৩ জন শিক্ষক যাঁরা ভুয়ো সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন এদিন তাঁদের নাম, রোল নম্বর, অ্যাপ্লিকেশন নম্বর থেকে শুরু করে কে কোন বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছিলেন, তা-ও জানানো হয়েছে ওই তালিকায়।

চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। তার আগেই প্রকাশ্যে এল অযোগ্য শিক্ষকদের (Teacher) তালিকা (List)। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ২০১৬-এর এসএসসি নবম ও দশমের ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অযোগ্য শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের ওয়েবসাইটে (Website) বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই তালিকায় যে ১৮৩ জনের নাম রয়েছে, তাঁরা ভুল পথে চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন।

এদিন কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, সংরক্ষিত তালিকাতেই (Reservation List) অযোগ্য প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি চাকরি পেয়েছেন। এমনকী, এই তালিকায় রয়েছেন এমন ৭৫-৮০ শতাংশ প্রার্থীরা বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত। তবে গুরুত্বপূর্ণভাবে ১৮৩ জন শিক্ষক যাঁরা ভুয়ো সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন এদিন তাঁদের নাম, রোল নম্বর, অ্যাপ্লিকেশন নম্বর থেকে শুরু করে কে কোন বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছিলেন, তা-ও জানানো হয়েছে ওই তালিকায়। বাংলা, ইংরেজি, অঙ্কের পাশাপাশি ইতিহাস, ভূগোল, জীবন বিজ্ঞান এমনকি পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও নাম রয়েছে তালিকায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভুয়ো সুপারিশপত্রে সবচেয়ে বেশি চাকরি পেয়েছেন ইংরেজি শিক্ষকরা। ১৮৩ জন অযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে ৫৭ জনই ইংরেজির শিক্ষক বা শিক্ষিকা। এছাড়া তালিকায় নাম রয়েছে ৩০ জন ভূগোল, ২২ জন জীবন বিজ্ঞান, ২১ জন বাংলা শিক্ষক-শিক্ষিকার। পাশাপাশি অঙ্ক ও পদার্থ বিজ্ঞানে ১৮ জন করে এবং ইতিহাসে ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ভুয়ো সুপারিশ পত্রে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

এক নজরে দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা 👇

Compliance 01_1_Dec_2022

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুক্রবারের মধ্যে যে ১৮৩ জন অবৈধভাবে সুপারিশপত্র পেয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাঁদের মধ্যে কতজন, কোন স্কুলে কর্মরত, তাও জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চাইবে কমিশন। ৩ দিনের মধ্যে কমিশনকে সমস্ত তথ্য জানাবেন স্কুল পরিদর্শকরা।

Previous articleশীর্ষ আদালতের ইতিহাসে তৃতীয়বার বসল মহিলা বিচারপতির বেঞ্চ, শুনল ৩২ মামলা
Next articleআনুষ্ঠানিকভাবে G-20র দায়িত্ব পেল ভারত, প্রধানমন্ত্রী জানালেন কোন পথে চলবে কাজ