‘অরণ্যবাসী জনজাতিদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে’: মোদিকে চিঠি হেমন্তের  

চিঠিতে খাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ২০২২ সালের বন সংরক্ষণ বিধি বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিটি ২০০৬ সালের আদিবাসীদের অরণ্যের অধিকার আইনের পরিপন্থী। ৩২টি জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপনাকে একথা জানানো আমার কর্তব্য বলে মনে করি।

কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) নয়া বন সংরক্ষণ বিধি (Forest Conservation Rules 2022) অনুযায়ী ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ (Interest of Development) অরণ্য ধ্বংস করতে পারবে শিল্প সংস্থা। কিন্তু সেই ছাড়পত্র দেওয়া হলে অরণ্যবাসী জনজাতিদের অধিকার (Right of the Forest People) আর সুরক্ষিত (Secure) থাকবে না। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার (Reconsideration) আর্জি জানিয়েছেন হেমন্ত।

চিঠিতে খাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ২০২২ সালের বন সংরক্ষণ বিধি বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিটি ২০০৬ সালের আদিবাসীদের অরণ্যের অধিকার আইনের পরিপন্থী। ৩২টি জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপনাকে একথা জানানো আমার কর্তব্য বলে মনে করি। দেশের ১০ কোটি নাগরিক অরণ্যভূমিতে বসবাস করেন। প্রাথমিক জীবিকা হিসাবে বনাঞ্চলের উপর নির্ভরশীলদের সংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। তবে নয়া বিধি কার্যকর হলে সেই মানুষগুলি তাঁদের অধিকার হারাবেন।

পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভারতীয় অরণ্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, নয়া বিজ্ঞপ্তি বা আইন সংশোধনীর ফলে অরণ্যবাসী জনজাতিদের অধিকার যাতে খর্ব না হয়, গ্রামসভাগুলি যাতে গুরুত্বহীন হয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করার বিষয়টিতে গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর।

Previous articleমারিশদার পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ অভিষেকের
Next articleবাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ নিয়ে কী বললেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা?