১৩ হাজারের বেশি আসন বাড়ছে গ্রাম পঞ্চায়েতে, প্রাথী-বুথকর্মী পাওয়া যাবে? চিন্তায় পদ্মশিবির!

১৩ হাজারের বেশি আসন বাড়ছে গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের আসন পুনর্বিন্যাসের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরেই এবার আসন সংখ্যা বাড়ছে। পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayet) আসন বেড়েছে ১৩ হাজারের বেশি। নভেম্বরে প্রকাশিত পঞ্চায়েতের আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকার থেকেও চূড়ান্ত তালিকায় গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন বেড়েছে ৪০ টি।

আসন পুনর্বিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের তুলনায় এবার পঞ্চায়েতে আসন বেড়েছে ১৩৭৫৪টি। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে আসন বেড়েছে যথাক্রমে ২৮১ এবং ১০৩টি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে,২০১৮ সালে জেলা পরিষদে আসনের সংখ্যা ছিল ৮২৫টি। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৯২৮। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৯২১৭ থেকে এবার বেড়ে হয়েছে ৯৪৯৮। ২০১৮ সালের হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ছিল ৪৮৬৫০। এবার আসন পুনরবিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকায় তা বেড়ে হয়েছে ৬২ হাজার ৪০৪। এরফলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে আরও বেশি সংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসনে থাকবেন।

আর এই তথ্যেই কপালে চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরের। প্রার্থী কোথায় পাবে তারা! সব বুথে কর্মী পাওয়া যাবে? এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। গত বিধানসভা নির্বাচনে যেভাবে পদ্মশিবিরের আশার ফানুস চুপসে গিয়েছে, তাতে বাংলায় বিপুল ধস নেমেছে দলে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন বৃদ্ধির ফলে প্রার্থী-বুথকর্মী দেওয়ার ক্ষেত্রেই গেরুয়া শিবির মুখরক্ষা করতে পারবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা।

আসন বৃদ্ধি নিয়ে কমিশনের ব্যাখ্যা, প্রতিবারেই আসন পুনর্বিন্যাসে কিছু নিয়ম মানতে হয়। প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯০০ জন ভোটারের জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রতি ৪৫০০ জন ভোটার থাকলে একটি আসন নির্দিষ্ট করেছে কমিশন। প্রতিটি ব্লকের একটি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে সর্বাধিক তিনটি আসন হতে পারে জেলা পরিষদে। সে-ক্ষেত্রে ৬০ হাজার ভোটার থাকলে একটি আসন নির্দিষ্ট হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন মানছে, প্রতি ৯০০ ভোটার পিছু একটি গ্রাম পঞ্চায়েত কেন্দ্র গড়তে গিয়ে চার জেলায় নীচুতলায় সামান্য ত্রুটি ছিল। যা এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এই চার জেলা হলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা,পূর্ব বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন কমেছে। বাকি তিন জেলাতেই সামান্য সংখ্যায় বেড়েছে। তবে এই আসন সংখ্যার বাড়া-কমা হয়েছে শুধুমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতেই। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসন অপরিবর্তিত রয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এবার আসন সংরক্ষণের পর্ব শুরু হবে। ৭ ডিসেম্বর তিনটি স্তরে সংরক্ষিত আসনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। ওই তালিকা নিয়ে আপত্তি বা দাবি জানানো যাবে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে।

আরও পড়ুন:শাকিব বুবলীর সম্পর্কে নতুন মোড় ; সমালোচনা পিছু ছাড়ছেনা

 

 

Previous articleশাকিব বুবলীর সম্পর্কে নতুন মোড় ; সমালোচনা পিছু ছাড়ছেনা
Next articleডিএ মামলায় হাইকোর্টের রায়ে আপাতত সুপ্রিম স্থগিতাদেশ নয়! পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর