Himachal Pradesh: নাড্ডার গড়ে বিজেপিকে দুরমু্শ করে বড় জয় কংগ্রেসের

পালাবদল ঘটল হিমাচলপ্রদেশের(Himachal Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনে(Assembly Election)। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার(JP Nadda) রাজ্যে বিজেপিকে(BJP) দুরমুশ করে ৪০ আসনে জয়ের পথে হাত শিবির। কংগ্রেসের(Congress) জয় কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর ইতিমধ্যেই নিজের ইস্তফাপত্র পেশ করেছেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। কংগ্রেসের জয়ের পর হিমাচল কংগ্রেসকে ভারত জোড়ো যাত্রা থেকেই শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে(Mallikarjun Kharge)।

হিমাচল প্রদেশ নির্বাচনের পর এক্সিট পোলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল একাধিক সংস্থা। ভোট গণনার শুরুতে সেরকম আভাস দেখা গেলেও বেলা যত গড়াতে থাকে ততই পিছিয়ে পড়তে থাকে শাসক দল বিজেপি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচলে ৪০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস যার মধ্যে ৩৫ টি আসনে ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে তারা। এগিয়ে রয়েছে ৫টি আসনে। অন্যদিকে বিজেপি ২৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে, যার মধ্যে ১৮ আসনে জয় ও ৭ টি আসনে এগিয়ে। অন্যান্যরা পেয়েছে ৩ টি আসন। এবং বামেরা শূন্য।

জয় নিশ্চিত হয়ার পর হিমাচল কংগ্রেসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক টুইটে উচ্ছ্বসিত রাহুল গান্ধী লিখেছেন, “হিমাচল প্রদেশের জনতাকে এই জয়ের জন্য মন থেকে ধন্যবাদ। সমস্ত কংগ্রেস কর্মী ও নেতাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনাদের পরিশ্রম ও সমর্পণ এই জয়ের আসল দাবিদার। ফের আস্বস্ত করছি জনতাকে করা সমস্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে খুব শিগগির।” তবে জয় পেলেও অস্বস্তি কাটছে না কংগ্রেস শিবিরের। কারণ ভোটগণনার আগের রাতেই কংগ্রেস থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে ৩০ জন কর্মীকে। তারপর দিন এই জয়ের পরই ফের একবার ঘোড়া কেনাবেচার প্রসঙ্গ উঠতে থাকে। কংগ্রেস সেই নিরিখে নিজের কৌশল ঠিক করে ফেলেছে। জানা যাচ্ছে বিজয়ী কংগ্রেস নেতাদের রাজস্থানে রিসর্টে রাখার বন্দোবস্ত হচ্ছে। একেবারে শপথ গ্রহণের পরই তাঁরা রাজ্যে ফিরতে পারবেন। এদিকে, হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর নতুন মুখ নিয়ে হাত শিবিরের হাইকমান্ডে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Previous articleগুজরাটে জয়ের রেকর্ড বিজেপির, রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ মোদির
Next articleএখনই বাতিল নয় ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি: আপাতত সুপ্রিম-স্বস্তি বেসরকারি পরিবহন মালিকদের