চারবছর অন্তর একবার বিশ্বকাপ (FIFA World Cup), তাই রাত জেগে অবিরাম চলছে দেদার খেলা দেখা। মঙ্গলবার রাতেই প্রথম সেমি ফাইনাল (Semi Final match)। উত্তেজনার আঁচ টগবগ করছে মেসি (Lionel Messi)প্রেমীদের মনে। বাংলায় যেন চলছে মিনি বিশ্বকাপ। ফুটবলের (Football)সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক যে কতটা গভীর সেটা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। চার বছরের অপেক্ষা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ফুটবলাদের পায়ের জাদু দেখার জন্য। সুতরাং বিশ্বকাপ এলেই পাড়ার মোড় থেকে বাড়ির বৈঠকখানা , অফিস ক্যান্টিন ঠেকে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) পোস্ট, সর্বত্রই ফুটবল নিয়ে উত্তেজনা চোখে পড়ার মতো। প্রি কোয়ার্টার থেকেই ম্যাচ গড়াচ্ছে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। রাত ভোর অব্দি টানটান উত্তেজনা আপনার হার্টের জন্য টাইব্রেকার হয়ে দাঁড়াবে না তো? ম্যাচ দেখার আনন্দেও উঁকি দিচ্ছে হৃদ রোগের (Heart Attack) ঝুঁকি। সাবধান হওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকেরা।

মেসি, রোনাল্ডো এবং লুকা মদ্রিচের শেষ বিশ্বকাপ। টিমটিম করে আশা এখনও বাকি শুধুই একজনকে নিয়ে মঙ্গলের রাত আকাশী সাদাদের জন্য মঙ্গলজনক হয়ে উঠুক প্রার্থনা বেশিরভাগেরই। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে শরীর যে অন্য ম্যাচ খেলতে শুরু করেছে তা হয়তো টের পাচ্ছেন না অনেকেই। চিকিৎসকেরা বলছেন অতিরিক্ত উত্তেজনা কখনই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। সাময়িকভাবে এর প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তন হয়। মস্তিষ্ক বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন প্রান্তে সিগন্যাল পাঠাতে শুরু করে । এর ফলে হঠাৎ করে পালস রেট, রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়। যদি কারও হাইপারটেনশন, হার্ট ফেলিওর অথবা অন্য কোনও হৃদরোগ থাকে তাহলে অতিরিক্ত উত্তেজনা এড়িয়ে চলা শ্রেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন কেউ ধরুন অনেকক্ষণ ধরে খেলা দেখছেন, আর গোল হতেই হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে উঠে দাঁড়ালেন, এক্ষেত্রে মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অবশ্য এটা বয়স্কদের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । এমনিতেই কাতারের সময় আর ভারতীয় সময়ের ফারাকের কারণে বেশির ভাগ বড় ম্যাচ মধ্যরাতে। রাত জেগে খেলা দেখায় স্লিপ সাইকেলে পরিবর্তন দেখা যায়। আর ঘুম ঠিক না হলে অবসাদকে নেমে আসা স্বাভাবিক। তাই সচেতন থাকা এবং পর্যাপ্ত জল খাওয়া প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
