স্বচ্ছ ভারত মিশনের সমস্ত দায়িত্ব পালন করে রাজ্য! অভিষেকের প্রশ্নে ‘মান্যতা’ কেন্দ্রের

সংসদে রাজ্যের সমস্যা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থেকে শুরু করে জিরো আওয়ারে সরব হওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে পরামর্শ দিয়েছেন দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নিশানায় এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) স্বপ্নের প্রকল্প স্বচ্ছ ভারত (Swachh Bharat Abhiyan) মিশন। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র সরকার নিজেদের সাফল্যের খতিয়ান হিসাবে সবসময় তুলে ধরে। কিন্তু এই প্রকল্পের আসল চিত্র ঠিক কী তা জানতে চেয়েই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের কাছে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম ছিল গ্রামে গ্রামে শৌচালয় তৈরি হলেও গ্রামাঞ্চলে জনশৌচালয়ের ব্যবহার বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং জলের সমস্যা এবং বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? পাশাপাশি তিনি জানতে চান এ বিষয়ে কোনও নিরপেক্ষ সমীক্ষা করা হয়েছিল কিনা। আর যদি হয়েও থাকে তাতে কী তথ্য উঠে এসেছে?

তবে অভিষেকের প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে জবাব দেওয়া হয়েছে তাতে জয় হয়েছে রাজ্যেরই। শৌচাগার তৈরি করা থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনা, সবকিছুতেই বাড়তি দায়িত্ব থাকে রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র শৌচাগার তৈরির টাকা এবং নির্দেশ দিয়েই থাকে। আর সেক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আগামী বছরের প্রথম দিকেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগেই গ্রামে গ্রামে শৌচাগার তৈরি করা নিয়ে কেন্দ্র যে প্রচার করে থাকে সেগুলিকে মানুষের ব্যবহারযোগ্য করে রাখার কাজ রাজ্য সরকারই করে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে, সংসদে রাজ্যের সমস্যা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থেকে শুরু করে জিরো আওয়ারে (Zero Hour) সরব হওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে (Nitin Gadkari) পরামর্শ দিয়েছেন দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। পাশাপাশি রাজ্যের গোবিন্দভোগ চালের উপর শুল্ক তুলে নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।

 

 

Previous article১৪৪৩ দিন পর টেস্ট কেরিয়ারের দ্রুততম শতরান পূজারার
Next articleKIFF 2022: চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশি ‘হাওয়া’র সাংবাদিক সম্মেলনে