ভারত নিয়ে ‘কুকথা’! ইনফোসিস কর্তার মন্তব্যে নিন্দার ঝড়

ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তি সাফ জানান, ভারতের বাস্তবটা হল দুর্নীতি, খারাপ রাস্তা, দূষণ এবং বেশিরভাগ সময়েই বিদ্যুৎহীনতা। আর সেদিক থেকে দেখতে গেলে যদি সিঙ্গাপুরকে দেখা যায় তাহলে পরিষ্কার বোঝা যাবে ঝকঝকে রাস্তা, দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং বিদ্যুতের কোনওরকম ঘাটতি নেই।

দুর্নীতি (Corruption), খারাপ রাস্তা (Bad Road Condition), দূষণ (Pollution) এবং নোংরা (Dirty)- এটাই ভারতের বাস্তব। এমনটাই জানালেন ইনফোসিস (Infosys) কর্তা এন আর নারায়ণমূর্তি (N R Narayana Murthy)। আর নারায়ণমূর্তির এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সম্প্রতি একটি কলেজের সেমিনারে গিয়ে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তি সাফ জানান, ভারতের বাস্তবটা হল দুর্নীতি, খারাপ রাস্তা, দূষণ এবং বেশিরভাগ সময়েই বিদ্যুৎহীনতা। আর সেদিক থেকে দেখতে গেলে যদি সিঙ্গাপুরকে (Singapore) দেখা যায় তাহলে পরিষ্কার বোঝা যাবে ঝকঝকে রাস্তা, দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং বিদ্যুতের কোনওরকম ঘাটতি নেই। আর আগামীদিনে আমাদের দেশের পড়ুয়াদেরই বাস্তব বদলানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে।

তবে ইনফোসিস কর্তা অবশ্য ভারতের এই সমস্যাগুলিকে আগামীদিনে সুযোগ হিসাবে দেখতে চাইছেন। তিনি জানান, আমাদের এই শূন্যতাগুলি আসলে ভবিষ্যৎপ্রজন্মের (Future Generation) জন্য একটা বড় সুযোগ। এরপরই পড়ুয়াদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বড়সড় পরিবর্তন করতে হবে। এখন থেকেই নিজেদের নেতা হিসাবে কল্পনা করতে শুরু করুন। অন্যরা পরিবর্তন করবে, সেই চিন্তা বা আশা না রেখে নিজেরাই পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজে নামুন।

তবে ইনফোসিস কর্তার এমন মন্তব্য একেবারেই ভালভাবে নেননি নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের মতে যেখানে তাঁর সংস্থা ইনফোসিস ৪০ বছর ধরে এ দেশে ব্যবসা করছে। সেই সংস্থার শীর্ষকর্তা নারায়ণমূর্তি কিনা ভারতেরই নিন্দা করছেন! কেউ কেউ আবার জামাই ঋষি সুনাকের (Rishi Sunak) নাম নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়ছে। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, নারায়ণমূর্তি ভারতের বদনাম করতে চাননি। শুধু বাস্তবটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন।

কিছুদিন আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন নারায়ণমূর্তি। তিনি জানান প্রতিভাবানদের সুযোগ দেননি তিনি। কোম্পানিকে বঞ্চিত করেছেন। সে কারণে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করছেন। কোম্পানির শীর্ষপদে কোম্পানি যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁদের পরিবারের কাউকে সুযোগ না দেওয়ার নীতি যে গ্রহণ করেছিলেন তিনি, সেটা তাঁর ভুল হয়েছিল।

 

 

Previous articleআগের নির্দেশ বহাল, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না দেওয়া যাবে না: হাই কোর্ট
Next articleছাড়বেন নাকি থাকবেন? মানুষের রায় নিতে টুইটারে ভোটিংয়ের পথে হাঁটলেন এলন মাস্ক