মরুদেশে যুদ্ধ জয় হল টিম আর্জেন্টিনার (Argentina)। ভারত তো বটেই গোটা বিশ্ব তাকিয়েছিলেন কখন ফুটবলের ঈশ্বর কাপ হাতে দাঁড়াবেন। টানটান উত্তেজনা আর প্রতি মুহূর্তে নাটকের পর অবশেষে এল এন ১০ এর হাতেই সেই কাপ। পেনাল্টি শট হওয়ার পর আর আবেগ ধরে রাখতে পারছিলেন না খেলোয়াড়রা। কিন্তু মেসি (Lionel Messi)তখন অনেক স্থির। সাফল্যের হাসি তাঁর চোখে মুখে। হাসিমুখেই সকলের অভিবাদন গ্রহণ করছেন। সতীর্থদের জড়িয়ে ধরছেন এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ঈশ্বরকে। আচমকাই ক্যামেরা থমকে গেল, লাইভ সম্প্রচারে দেখা যায় মেসি হেঁটে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ পিছন থেকে কেউ তাঁর বাঁ হাত টেনে ধরেন। ঘাড় ঘুরিয়ে তাঁকে দেখেই আবেগে জড়িয়ে ধরেন লিওনেল মেসি । এরপর সকলেই বলতে শুরু করেন মাঠে এসেছেন মেসির মা। সংবাদমাধ্যমে সে কথা ছড়িয়েও পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই ভুল ভাঙে সবার, জানা যায় ঐ মহিলার আসল পরিচয়। তিনি মেসির মা নন। তাহলে তিনি কে?

বিশ্ব তখন মেতেছে মেসির মেজাজে। মাঝবয়সি এই মহিলার চোখে মুখেও সেই আনন্দ। তাঁর নাম আন্তোনিয়া ফারিয়াস (Antonia Farías)। মেসি আবেগে আপ্লুত হয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন মহিলার চোখেমুখে ছিল স্নেহের স্পর্শ। তাতেই বিভ্রান্তি ছড়ায়। অনেকেই ভাবতে শুরু করেন যে তিনি বুঝি মেসির মা সিলিয়া মারিয়া কুকসিটিনি (Celia María Cuccittini)। রবিবার কাতারের রঙ বদলে হয়েছিল নীল সাদা। প্রতীক্ষিত জয়ের পর গ্যালারি থেকে নেমে আসেন মেসি (Lionel Messi),ডি মারিয়া (Di Maria),এমি মার্টিনেজদের (Emiliano Martinez) স্ত্রী, সন্তানরাও। সেই ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়। তখনই আন্তোনিয়া ফারিয়াসকে (Antonia Farías) দেখা যায়। আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের রাঁধুনি। ৪২ বছর বয়সি আন্তোনিয়া গত প্রায় ১২ বছর ধরে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন মেসিও।