বর্ষবরণে সকাল থেকে মাতোয়ারা শহর-শহরতলি, জনজোয়ার পার্ক স্ট্রিট-চিড়িয়াখানা-নিকো পার্ক

ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন বছরর কাউন্টডাউন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপর ২০২২-কে বিদায় জানিয়ে ২০২৩-কে স্বাগত জানাবার পালা। বছর শেষ ও নতুন বছরের শুরুতে আনন্দে মাতোয়ারা গোটা বিশ্ব।শহর ও শহরতলির বিভিন্ন স্থানে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।

প্রত্যেক বছরই বর্ষবরণের রাতে শহরের নানা জায়গায় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শহরের মল ও পাবগুলিতে ইতিমধ্যোই শুরু হয়ে গিয়েছে নিউ ইয়ার্স পার্টি। মাঝরাত অবধি চলবে হইহুল্লোড়।

সকাল থেকেই বর্ষবরণের  আমেজ সারা বিশ্বের পাশাপাশি শহর কলকাতাজুড়ে । নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর তোরজোড় তুঙ্গে। গত কয়েকদিন ধরেই বেশ জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। সেই ঠান্ডার আমেজে গায়ে মেখে বর্ষবরণের আনন্দে সকাল থেকেই মেতে উঠেছেন শহরবাসী। চিড়িয়াখানা থেকে ইকো পার্ক- ভিক্টোরিয়া থেকে ময়দান সর্বত্রই উপচে পড়া ভিড়।

শহরের মল ও পাবগুলির পাশাপাশি রাস্তাঘাটেও চলছে পুলিশ নজরদারি। মহিলাদের নিরাপত্তায় শহরে উইনার্স বাহিনীও টহল দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এবছর শহরজুড়ে নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৩০০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকছে। এছাড়াও পুলিশের টহলদারি ভ্যানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

বছরের শেষ দিন সরকারি অফিস থেকে স্কুল-কলেজে ছুটি। তাই বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবারের সঙ্গে সকাল থেকেই সেজেগুজে ঘুরতে বেরিয়েছেন অনেকেই। যার প্রমাণ ভিক্টোরিয়া কিংবা নিকো পার্কের ভিড়। আবার শহরের শপিং মলগুলিতেও ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। সন্ধে নামতেই আবার পার্ক স্ট্রিট চত্বরে জনতার ঢল নেমেছে। অনেকে আবার দু’দিনের ছুটিতে রওনা দিয়েছেন দিঘা কিংবা মন্দারমণি।

রেস্তরাঁগুলিও পাল্লা দিচ্ছে একে অপরের সঙ্গে। চায়না টাউন থেকে যাদবপুর- সর্বত্রই ছবিটা একইরকম। রাত যত বাড়বে, ততই লম্বা হবে রেস্তরাঁর সামনের লাইন। তবে অনেকে আবার বাড়িতেই পার্টির আয়োজন করছেন। শুধু পার্ক বা রেস্তরাঁই নয়, এদিন সকাল থেকে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে দক্ষিণেশ্বর থেকে কালীঘাট মন্দিরেও। মায়ের পুজো দিয়েই বছরটা শেষ করতে চেয়েছেন অনেকে।সবমিলিয়ে ইতিমধ্যেই জমজমাট বর্ষবরণ উৎসব।

Previous articleএকসঙ্গে আর নয়: রাজ-পরীমনির বিচ্ছেদ
Next articleযাত্রী সুরক্ষায় বিশেষ নজর: নতুন বছরে দেশের সব প্রিমিয়াম এক্সপ্রেসেই সিসি ক্যামেরা