নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক! আজ কী বার্তা দিতে পারেন মমতা?

রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সঠিক সময়ে দরজা খোলার কথা জানিয়ে বলেছেন, সোমবার দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে আমাদের দিকনির্দেশ করবেন।

নতুন বছরের শুরুতে কী হতে পারে তৃণমূলের (Trinamool Congress) সোমবারের বৈঠকে? কোনও বড় ঘোষণা কী আসতে চলেছে ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চের সভা থেকে? সোমবারের সভায় উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নতুন বছরের শুরুতে তৃণমূলের এই মেগা বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে বৈঠক। রবিবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সোমবারের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে নতুন নির্দেশ দেবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনেই আগামী দিনে দল চলবে। তবে কী ধরনের নির্দেশ দেওয়া হবে, তা অবশ্য এদিন প্রকাশ করেননি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) কিছুদিন আগেই একটি টুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, ২ জানুয়ারি দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরে নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ধামাকা কি না জানি না, তবে ২ জানুয়ারি একটা দিন আছে। দরজা খোলার ব্যাপারে অনেক আবেদন আছে। সাংসদ, বিধায়ক ও সাংগঠনিক নেতাদের আবেদন আছে।

কিছুদিন আগেই কাঁথিতে সভা করতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, দরজা ফাঁক করলে বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাবে। রবিবারও আবার তাঁর মুখে দরজা ফাঁকের তত্ত্ব শোনা গিয়েছে। বলেছেন, দরজা শুধু ফাঁক করা নয়, সঠিক সময়ে দরজা খোলাও হবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মুখে এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ঘিরে জল্পনা আরও বেড়েছে। যদিও সেই সঠিক সময় কখন আসবে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ করেননি তৃণমূল সেনাপতি। অতীতে গত ৮ মার্চ এই নজরুল মঞ্চেই মমতার উপস্থিতিতে এক দলীয় সভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তাহলে কি বিজেপিতে আবার কোনও ভাঙন আসন্ন? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে চলেছে। এবারও নজরুল মঞ্চের সভায় এমন কোনও চমক অপেক্ষা করছে? জোর জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সঠিক সময়ে দরজা খোলার কথা জানিয়ে বলেছেন, সোমবার দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে আমাদের দিকনির্দেশ করবেন। বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে ব্লক স্তর পর্যন্ত সবমিলিয়ে সাড়ে তিন হাজার প্রতিনিধিকে ডাকা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতি অভিষেক অনুরোধ করেন, আপনারা একটু নজর রাখুন। সোমবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিতভাবে কিছু নির্দেশিকা আমাদের দেবেন।

প্রসঙ্গত রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে এই বৈঠকে বিধায়ক সাংসদদের সঙ্গে থাকবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও কর্ম্যাধ্যক্ষরাও। ইতিমধ্যেই মারিশদা ও তাতলার পঞ্চায়েত প্রধানকে পদ থেকে সরিয়েছেন অভিষেক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েতের মহারণের আগে মারিশদা মডেলকেই এখন হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল শিবির। পঞ্চায়েত প্রধানদের উপর কোপ পড়ার পর কি এবার শীর্ষ নেতৃত্বের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হবে কোনও জেলা পরিষদকে? সেই নিয়েই আলোচনা তুঙ্গে তৃণমূল শিবিরের অন্দরে। এমন অবস্থায় এই জেলার সংগঠনকে আরও মজবুত করতে শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কোনও বার্তা আসে কি না, সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

 

 

Previous articleচেনা শীতের দেখা নেই, নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেও পারদ ঊর্ধ্বমুখী
Next articleরাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ! জিনোম সিকোয়েন্সের পরীক্ষা এবার ট্রপিক্যালেই