রাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ! জিনোম সিকোয়েন্সের পরীক্ষা এবার ট্রপিক্যালেই

স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এখানে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (Calcutta School of Tropical Medicine) চালু হল জিনোম সিকোয়েন্সের ব্যবস্থা। এর ফলে জিনোম সিকোয়েন্সের (Genome Sequence) জন্য চণ্ডীগড় পিজিআই (Chandigarh PGI) বা কোনও ভিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে আর নমুনা পাঠাতে হবে না। কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনেই এখন জিনের চরিত্র বিশ্লেষণ করা যাবে। ফলে আরও দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

এতদিন চণ্ডীগড় পিজিআই থেকে এই রিপোর্ট আসতে অন্তত ৩-৪ সপ্তাহ সময় লেগে যেত। তবে এখন মাত্র ৭ দিনের মধ্যে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জিনোম সিকোয়েন্সের ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এখানে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। অচেনা ভাইরাসের প্রকৃতি ও তার জিনের চরিত্র বদলের বিষয়ে খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য এখানে পাওয়া যাবে। ৪টি নমুনার একসঙ্গে বিশ্লেষণ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সের গুরুত্ব কতটা তা আমরা কোভিডের (Covid) সময় দেখেছি। এছাড়াও কোনও অচেনা ভাইরাসের চরিত্র বুঝতেও জিনোম সিকোয়েন্স অপরিহার্য। এখানে বিভিন্ন ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স এখন চালু হলেও ছত্রাকঘটিত কিছু রোগও শনাক্ত করা হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু কিট দরকার। আগামী দিনে সেটিও এখানে করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জিনোম সিকোয়েন্সের ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশি রাজ্যের চিকিৎসক মহল। চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নততর চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা খুবই কার্যকর হবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জিনোম সিকোয়েন্স চালু হয়ে যাওয়ায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরালো হল।

 

 

Previous articleনজরুল মঞ্চে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক! আজ কী বার্তা দিতে পারেন মমতা?
Next articleপ্রকাশ্যে দেশের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি চক্র! প্রতারিত বাংলা সহ দেশের ৫০ হাজার চাকরিপ্রার্থী