প্রকাশ্যে দেশের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি চক্র! প্রতারিত বাংলা সহ দেশের ৫০ হাজার চাকরিপ্রার্থী

ওড়িশা পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডার নাম আহমেদ। আলিগড়ের সিভিল লাইনস-এর বাসিন্দা সে।

বড়সড় প্রতারণা (Fraud) চক্র ফাঁস করল ওড়িশা পুলিশ (Odissa Police)। জানা যাচ্ছে এটাই ভারতের সবথেকে বড় চাকরি সংক্রান্ত জালিয়াতির ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, জালিয়াতির ঘটনায় প্রতারিত দেশের কমপক্ষে ৫০ হাজার চাকরিপ্রার্থী। জালিয়াতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার। প্রতারিত গুজরাট (Gujrat), কর্নাটক (Karnataka), অন্ধ্র প্রদেশ (Andhra Pradesh), ওড়িশার (Odissa) পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) চাকরিপ্রার্থীরাও।

ওড়িশা পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডার নাম আহমেদ। আলিগড়ের সিভিল লাইনস-এর বাসিন্দা সে। ২৫ বছরের অভিযুক্ত যুবক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাকে গ্রেফতারের পর আলিগড়ের স্থানীয় আদালতে পেশ করে ওড়িশা পুলিশ। তবে আদালত তার ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এরপর তাকে ভুবনেশ্বরের আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

উল্লেখ্য, কয়েকজন ওয়েবসাইট ডেভেলপারদের সাহায্যে উত্তর প্রদেশের একদল দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররাই এই কেলেঙ্কারী চক্র চালাচ্ছিল। এই ওয়েবসাইট ডেভেলপার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তা করছিল প্রায় ৫০ জন কল সেন্টারের কর্মী। এরা অধিকাংশই ছিল উত্তর প্রদেশের জামালপুর এবং আলিগড় এলাকার বাসিন্দা। তাদের প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা করে দেওয়া হত। এই চক্র চালানোর জন্য হাজারটিরও বেশি জাল সিম এবং ৫৩০টি হ্যান্ডসেট এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়েছিল।

পাশাপাশি এই কেলেঙ্কারিতে প্রায় ১০০টি জাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। মূলত স্বাস্থ্য বা দক্ষতা বিভাগের চাকরিকে নিশানা করত তারা। ওই ওয়েবসাইটে সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপনই দেওয়া হত। এমনকি চাকরি প্রার্থীদের আকর্ষণ করতে তারা “প্রধানমন্ত্রী এম্প্লয়মেন্ট স্কিম”-এর কথাও উল্লেখ করত। প্রতারকরা স্থানীয় সংবাদপত্রগুলিতেও বিজ্ঞাপন দিত। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হত।

 

 

Previous articleরাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ! জিনোম সিকোয়েন্সের পরীক্ষা এবার ট্রপিক্যালেই
Next articleপ্রথমদিনেই বন্দে ভারতের খাবার নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ যাত্রীদের