আজ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ খেলতে নামছে ভারতীয় দল। প্রথম ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর, বৃহস্পতিবার ফের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ভারত । জিতলেই তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ পকেটে পুরে ফেলবেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। মুম্বই থেকে বুধবারই পুণে পৌঁছে গিয়েছে দুই দল। যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত বোলিং করা শিবম মাভি। মুম্বইয়ে চার উইকেট নেওয়া তরুণ ভারতীয় পেসার বলছেন,”আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলেও, আমার উপর কোনও চাপ ছিল না। বিশেষ করে, পাওয়ার প্লেতে অনেকটাই খোলা মনে বল করেছি।

অধিনায়ক হার্দিক আবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয় থেকেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চাপ সামলানোকে। মুম্বইয়ে শেষ ওভারে জেতার জন্য শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৩ রানের। ওই পরিস্থিতিতে নিজে বোলিং না করে হার্দিক বল তুলে দেন বাঁ হাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের হাতে। হার্দিকের বক্তব্য, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজের একটা-দুটো হারকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমার লক্ষ্য বড় আসরে জয়। তাই সতীর্থদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলতে চেয়েছি। যাতে এই দলটা মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে যদি কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করতে না পারি, তাহলে বড় টুর্নামেন্টে কীভাবে পারব?’’
মুম্বই ম্যাচে পায়ে চোট লাগলেও, সবাইকে আশ্বস্ত করে হার্দিক জানিয়েছেন, ‘‘আগের রাতে ভাল ঘুম হয়নি। জলও কম খেয়েছিলাম। তাই পায়ের পেশিতে টান ধরেছিল। ভয়ের কিছু নেই, আমি ফিট।

প্রথম ম্যাচ থেকে ভারতের আরও এক প্রাপ্তি দীপক হুডা। চাপের মুখে ব্যাট করতে নেমে ২৩ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দেন হুডা। যা দলকে লড়াই করার মতো রানে পৌঁছে দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা তাঁকে ফিনিশার হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করছেন। হুডা বলছেন, ‘‘ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নামা মানেই ফিনিশারের ভূমিকা পালন করতে হবে। আর একজন ফিনিশারের কাজ হল ম্যাচ শেষ করে আসা। সেটা প্রথম ইনিংসে বড় রান করা হোক বা রান তাড়া করা। আমি নিজেও চাপ নিতে পছন্দ করি। কঠিন পরিস্থিতিতে আমার সেরাটা বেরিয়ে আসে।”

এদিকে, চোটের জন্য শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন সঞ্জু স্যামসন। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচ খেলার সময় তিনি হাঁটুতে চোট পান। তাঁর পরিবর্তে ভারতীয় দলে নেওয়া হয়েছে বিদর্ভের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জীতেশ শর্মাকে।

আরও পড়ুন:Breakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
