Sunday, August 24, 2025

মাঠ ভরতি মানুষের মাঝে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, কুণালের পাল্টা নববর্ষের শুভেচ্ছা

Date:

মাঠ ভরতি মানুষ। সকলের মুখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। কিন্তু আচমকাই সেখানে তাল কাটল। স্লোগান উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ । কিন্তু কোন বীর তুললেন সেই স্লোগান? এমনই তার বিক্রম যে নিমেষে ভিড়ের মধ্যে মিশে গেলেন, সামনে আসার সাহসই পেলেন না।এই ঘটনার সাক্ষী পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির এক খেলার মাঠ।

শুক্রবার দুপুরে ওই মাঠে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । তাঁকে দেখেই ভিড়ের মধ্যে একজন চিৎকার করে ওঠেন ‘জয় শ্রীরাম’। কিন্তু নিমেষের মধ্যে গা ঢাকা দেন। সেই ব্যক্তির এহেন আচরণে কুণাল ঘোষ পাল্টা যা করলেন, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। তৃণমূলের রাজ্য সাধা্রণ সম্পাদক সৌজন্যমূলকভাবে হাত বাড়িয়ে দেন ওই ব্যক্তির দিকে।তিনি পালটা হেসে আড়ালে চলে যাওয়া ব্যক্তিকে ডেকে বলেন, সামনে আসুন, কোনও অসুবিধা নেই। সামনে এসেই বলুন। কুণালের ডাকেও যদিও ওই ব্যক্তি সামনে আসেননি। এরপর কুণাল ঘোষ হাত বাড়িয়ে দেন তাঁর দিকে। তখন তিনি সামনে এসে হ্যান্ডশেক করেন তৃণমূলের মুখপাত্রের সঙ্গে।

কী বললেন কুণাল ? তিনি তাঁকে বলেন, নতুন বছর ভাল কাটুক। কুণালের এই কথা শুনে থতমত খেয়ে যান ওই ব্যক্তি। এই সৌজন্যমূলক আচরণেই তৃণমূলের মুখপাত্র বুঝিয়ে দিলেন, ‘বেসুরো’ স্লোগানে ঘাসফুল শিবিরকে প্ররোচিত করলেও সেই প্ররোচনায় তারা পা দিচ্ছেন না।কুণাল ঘোষ যেভাবে পরিস্থিতি সামলালেন, তা রাজনৈতিক দিক থেকে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

শুধু তাই নয়, খেজুরির  জনসভায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রসিকতার সুরে  বলেন, গোটা মাঠে জয় বাংলা স্লোগান চলছিল। একজনই তার মধ্যে একটু অন্য স্লোগান দিলেন। আমি বললাম, সামনে এসেই বলুন। তারপর তাঁর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালাম। আমার বক্তব্য হচ্ছে, যে, যে স্লোগানই বলুন, আপনারা সকলে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী এসব কার্ড করে নেবেন। তাহলে আপনাদেরই সুবিধা হবে। আর যে স্লোগানেই ভরসা রাখুন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নতুন বছরে ভাল থাকবেন। এটাই আমাদের শুভেচ্ছা।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version