চরমে মূল্যবৃদ্ধি! প্রবল অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পাকিস্তান, কাঠগড়ায় শাহবাজ সরকার

পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে পাকিস্তানে পাম তেল, সোয়াবিন তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না রান্নার তেলও। অথচ এই তিন তেলের সে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায়।

মূল্যবৃদ্ধি (Price Rise) আগেই চরমে পৌঁছেছে। আর এবার ভোজ্য তেল (Cooking Oil) ও ঘিয়ের (Ghee) জোগানকে কেন্দ্র করে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ পাকিস্তানে (pakistan)। আর এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে রমজান (Ramadan) মাসের আগেই জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হবে, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

পাক অর্থনীতির সব সূচকই বর্তমানে নেতিবাচক। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ক্রমশই কমছে। কমছে প্রবাসী আয়, সেই তুলনায় পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে মুদ্রাস্ফীতি। এদিকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে ঋণ চাইলেও কঠিন শর্তের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। পাশাপাশি মাথাচাড়া দিচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। সেই কারণে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়ছে। গত ৫০ বছরে পাকিস্তানের মুদ্রা রুপির দর পতন হয়েছে ৪ হাজার ১০০ শতাংশ। ১৯৭২ সালের মে মাসে ১ ডলারের জন্য ৪.৭৬ রুপি গুণতে হত। শনিবার পাকিস্তানের খোলা বাজারে ১ ডলার বিক্রি হয়েছে ২৫০ রুপিতে। এর ফলে বিদেশি মুদ্রার মজুত যেমন ক্রমাগত কমছে তেমনই অর্থনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বর্তমানে ৯.১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সে দেশে মজুত রয়েছে।

পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে পাকিস্তানে পাম তেল, সোয়াবিন তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না রান্নার তেলও। অথচ এই তিন তেলের সে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায়। তারপরেও চাহিদামতো তেল জোগানে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের ভূমিকা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। ইতিমধ্যে পাম তেলের দাম বেড়েছে অনেকটাই। ১ মাউন্ড পাম তেলের দাম ১৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১৪ হাজার টাকা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ঘি ও অন্যান্য ভোজ্য তেলের দামও লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে ২৫ থেকে ৫২ শতাংশ হয়েছে। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের আমজনতার অবস্থা শোচনীয়।

অন্যদিকে পাকিস্তানে জ্বালানির মূল্য আকাশচুম্বী। পেট্রোল (Petrol) ও ডিজেল (Disel) বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ২৩০ ও ২৬০ রুপিতে। পাশাপাশি বিদ্যুতের হালও তথৈবচ। শহর ও গ্রাম সবজায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ পরিষেবা। আর সেকারণে মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। শ্রীলঙ্কায় এখন যে সংকট চলছে পাকিস্তানও সেই পথেই হাঁটছে বলে মত অভিজ্ঞ মহলের। পাকিস্তানের অর্থনীতিও সেই পথেই এগোচ্ছে।

 

 

Previous articleটুইটার হ্যাক করে তথ্য চুরি! বিপাকে ২০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী
Next articleলঙ্কানদের বিরুদ্ধে ম‍্যাচ জিতে SKY-এর প্রশংসায় নেতা হার্দিক