“সমাজে ঘৃণা ছড়ায় মনুস্মৃতি ও রামচরিতমানস”, বিতর্কিত মন্তব্য বিহারের মন্ত্রীর

ধর্মীয় গ্রন্থ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী(Bihar Education Minister) চন্দ্রশেখর(ChandraSekhar)। মন্ত্রীর দাবি, তুলসীদাস রচিত রামচরিতমানস (Ramcharitmanas) আসলে সমাজে ঘৃণার মনোভাব ছড়ায়। এছাড়াও এই ধরনের গ্রন্থ নারী স্বাধীনতা এবং দলিত মুক্তি বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিহারের মন্ত্রীর মন্তব্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।

বুধবার এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চন্দ্রশেখর বলেন, “রামচরিতমানস, মনুস্মৃতি এবং গুরু গোলওয়ালকরের বাণী সমাজে ঘৃণার মনোভাব ছড়ায়। ঘৃণা কোনও দেশকে সেরা করে তুলতে পারে না, বরং ভালবাসাই মহান করে তুলতে পারে একটি দেশকে।” বিহারের শিক্ষমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিহারের বিজেপি দল। অবিলম্বে এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি চন্দ্রশেখরকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু। তিনি বলেন, “চন্দ্রশেখরকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না চাইলে তাঁর জিভ কেটে নেওয়া হবে। যে শিক্ষামন্ত্রীর জিভ কেটে আনবে তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেবেন ধর্মগুরু।”

উল্লেখ্য, এর আগে বিহারের আরজেডি (RJD) নেতা জগদা নন্দ সিংয়ের (Jagada Nand Singh) অযোধ্যার রামমন্দির সংক্রান্ত মন্তব্যেও বিতর্ক কিছু কম হয়নি। জগদা নন্দ সিং বলেছিলেন, “যে ভগবান রাম সবকিছুর মধ্যে বিরাজ করেন তাকে চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ করা হয়েছে। রামমন্দির নির্মাণ করা হয়েছে ঘৃণার ভূমিতে (নফরত কী জমিন)। এই মন্দিরে যে রাম রয়েছেন তা অশান্তি বাধানো মানুষের। অযোধ্যার ভগবান ছিলেন গরিবের, কুঁড়েঘরে বসবাসকারী মানুষের, পাথরের কাঠামোর মধ্যে তাকে বন্দী করা হয়েছে।”

Previous articleচরম অব্যবস্থা যোশীমঠে! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেই চলছে রাস্তা তৈরির কাজ
Next articleএবার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা