বাংলায় ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) এবার বামেদের আমন্ত্রণ চিঠি কংগ্রেসের (Congress)। সাগর (Gangasagar) থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়ো যাত্রা আগামী ২৩ জানুয়ারি শেষ হবে কার্শিয়াংয়ে (Kurseong)। আর শেষ দিন পদযাত্রায় অংশ নিতে শুক্রবার সিপিএমের (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে (Md Selim) চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)। পাশাপাশি চিঠিতে মহম্মদ সেলিমকে ‘সেলিম দা’ বলেও উল্লেখ করেছেন অধীর। তবে শুধু বামেরাই নয় বিজেপি বিরোধী রাজ্যের সব দলকেই পদযাত্রায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ। তবে ভারত জোড়ো যাত্রার মতো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদযাত্রায় কেন আমন্ত্রণপত্র জানানো হল না তৃণমূলকে (TMC)? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর সেলিমকে দেওয়া অধীরের এই চিঠি বাম-কংগ্রেস জোটের জল্পনা রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বেশ কিছুটা উস্কে দিল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

সংশ্লিষ্ট আমন্ত্রণপত্রের শুরুতেই মহম্মদ সেলিমকে ‘সেলিম দা’ বলে সম্বোধন করে অধীর লেখেন, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কন্যাকুমারী (Kanyakumari) থেকে কাশ্মীর (Kashmir) পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়েছে। তার সমর্থনেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি আশ্রম থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত সাগর থেকে পাহাড় কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি কার্শিয়াংয়ে শেষ হচ্ছে সেই কর্মসূচি। ওই কর্মসূচিতে আপনারা উপস্থিত থাকুন।
উল্লেখ্য, ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জানুয়ারি। আর সেদিন কংগ্রেসের সঙ্গে সামিল হওয়ার জন্য লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও (Mallikarjun Kharge) সব বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে তৃণমূলও। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস সেই সৌজন্য দেখালেও প্রদেশ কংগ্রেস সেই সৌজন্যতাটুকু দেখাতে পারল না তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে অধীর জানিয়েছেন, তৃণমূলকে এর আগে আমন্ত্রণ দেখানো হলেও দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) জানিয়েছেন, এই রাজ্যে কংগ্রেস সিপিএমের হাতে তামাক খেয়ে বসে আছে, এটা আজকের ঘটনা নয়। বহুদিন আগে থেকেই তা প্রমাণিত। বিধানসভা নির্বাচন থেকে বিভিন্ন নির্বাচনে তারা জোট করেছে। নীতি আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে আইএসএফের মতো সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে তারা হাত মিলিয়েছে। এরপরই শান্তনু সেন বলেন ভারত জোড়োর আগে নিজেদের দলটাকে জুড়ুন। আপনাদের বিধায়করা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, আপনাদের বিধায়করা বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এগুলো আগে আটকান। যে দলে বিধায়ক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সেই দল কারও অপেক্ষা করে বসে থাকে না।
