বিরোধীদের ভাতে মারার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার: এবার কেন্দ্রে বদলের হুঙ্কার মমতার

মমতার কথায়, কেউ যদি বাংলাকে ভাতে মারার কথা ভাবেন তাহলে 'জানেন তো আমি কীরকম চিজ, চিজ মানে মাখন নয়!“

ফের পরিবর্তনের স্লোগান তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। সোমবার, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘিতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, ভাতে মারার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এদিন ফের ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ায় কোন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাজ করিয়ে দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বিরোধীদের ভাতে মারার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।“ মমতার অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি টাকা পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাকে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। এরপরেই হুঙ্কার তৃণমূল নেত্রীর। “এটা বিজেপির (BJP) নিজস্ব জমিদারি মনে করলে ভুল হবে। আজ ক্ষমতায় আছে বলে হিরো, না থাকলেই বিগ জিরো“।

“কেন্দ্র সরকার একশো দিনের কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি। আমাদের এখান থেকে ট্যাক্স তোলা হয়। সেই টাকা কেন্দ্রে জমা পড়ে। তারপরে সেই টাকা ভাগ রাজ্যের ভাগে যা পড়ে তা দেওয়া হয়। কেউ যদি মনে করে থাকে ওই টাকা বিজেপির জমিদারি তাহলে তাহলে ভুল করছেন। মানুষের টাকা মেরে বাংলাকে ভাতে মেরে, বিরোধী দল যেখানে রয়েছে সেই সব রাজ্যগুলিকে ভাতে মেরে এই সরকার চলতে পারে না। একশো দিনের টাকা পাওয়ার পর কেন সাধারণ মানুষ টাকা পাবে না!“ মমতার কথায়, কেউ যদি বাংলাকে ভাতে মারার কথা ভাবেন তাহলে ‘জানেন তো আমি কীরকম চিজ, চিজ মানে মাখন নয়!“

বাম-বিজেপির আঁতাঁত নিয়ে এদিন আক্রমণ করেন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “এখন রাম-বাম-শ্যাম এক হয়ে গিয়েছে“। কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বামেরা সরব নয় কেন! প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় টিম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। বলেন, “বাংলায় রোজ সেন্ট্রাল টিম পাঠাচ্ছে। দিল্লিতে গাড়িতে একজন মেয়েকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সেন্চ্রাল টিম পাঠাচ্ছো না তো! NRC নিয়ে অসমে লাখ লাখ মানুষকে বিপদে ফেলল সেখানে সেন্ট্রাল টিম যায় না কেন? আর এখানে একটা বিজেপিকে যদি উই পোকাতেও কামড়ায় তাহলেও নাকি সেন্ট্রাল টিম আসে। এখানে একটা চকলেট বোম ফাটলেও এনআইএ আসে। দেখেছেন কীভাবে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে? মনে রাখবেন বদলা নেব না কিন্তু বদল আমি করব।“ এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে উপভোক্তাদের হাতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।