বক্তব্যের শুরুতেই থামালেন সুকান্তকে! বঙ্গ বিজেপি কর্মীদের প্রশংসায় ভরালেন মোদি

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সোমবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাংলা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেন।

যেভাবে বাংলার বিজেপি কর্মীরা (BJP) লড়াই করছেন, তা প্রশংসনীয়। এই লড়াই জারি থাকবে। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে (National Executive Meeting) বাংলার কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পর থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে সরব বঙ্গ বিজেপি। প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়েই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানায় রাজ্য বিজেপির শীর্ষকর্তারা। কিন্তু রাজ্যে বিজেপির অবস্থা যথেষ্ট তথৈবচ। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে রীতিমতো জেরবার গেরুয়া শিবির। বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মিলেমিশে কাজের কথা বললেও কথা কানে তুলছেন না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আর এই পরিস্থিতিতেই এবার ময়দানে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গ বিজেপিতে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সকলেই নিজের মতো করে দলের রাজা হিসাবে নিজেদের মনে করছেন। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ নেতা ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করছেন। যার জেরে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে নিচুতলার কর্মীদের। আর তার জেরে ক্রমশই ঝিমিয়ে পড়ছে সংগঠন। আর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির রাশ ধরলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। এদিন বিজেপির ‘ট্রেনি সভাপতি’ (Trainee President) তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিছু বলতে গেলেই তাঁকে থামিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সোমবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাংলা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেন। এরপরই মোদি বলেন, বাংলায় যে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই আমাদের বাংলার কথা শোনা দরকার।

পাশাপাশি সোমবার দিল্লিতে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বাংলায় ‘হিংসার’ প্রসঙ্গ তুলে ধরে বাংলায় বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বারবার বলেন, যেভাবে বাংলায় বিজেপি কর্মীরা লড়াই করছেন, তা প্রশংসনীয়। তবে এদিন বক্তব্য রাখার সময় যেভাবে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে থামিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, রাজ্য সংগঠনের হাল দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী। একাধিকবার সুকান্ত-শুভেন্দুদের বলা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন সংগঠনের অবস্থা তথৈবচ তা নিয়ে চটেছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

 

Previous articleহাতের কাটা যাওয়া তিনটি আঙুল জুড়ে সনৎ পালকে নতুন জীবন দিলেন কলকাতার চিকিৎসকরা
Next articleআদালত চত্বরে কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নয়, নির্দেশ হাই কোর্টের