বঙ্গভবনের “দাদাগিরি”, সিসিটিভি ফুটেজ নষ্টের অভিযোগ, গুজরাত পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ রাজ্যের

গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। দিল্লির বঙ্গভবন থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সাকেত গোখলেকে। তৃণমূল নেতাকে শুধু গ্রেফতার করাই নয়, দিল্লির বঙ্গভবনে ঢুকে গুজরাত পুলিশ কার্যত “দাদাগিরি” করেছিল বলে অভিযোগ। বঙ্গভবনে সিসিটিভি ফুটেজ নষ্টেরও অভিযোগ উঠেছিল।

এবার আইনি পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের তরফে দিল্লি পুলিশের গুজরাত পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। দিল্লির চাণক্যপুরী থানায় লিখিতভাবে এই অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, বঙ্গভবনে আগাম অনুমতি না নিয়ে ঢুকে পড়েছিল গুজরাত পুলিশ। তারপরে সিসিটিভি ফুটেজও নষ্ট করা হয়েছে। গুজরাত পুলিশের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেরও আধিকারিকদেরও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

রাজ্যের তরফে অভিযোগ, গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনের নিরাপত্তা কর্মীদের শাশানি, চোখরাঙানি দিয়ে সাকেতকে তুলে নিয়ে যায়। তৃণমূল মুখপাত্রকে গ্রেফতারের সময় পুলিশ
বলপ্রয়োগ করেছিল বলেও অভিযোগ। সেই প্রমাণ লোপাট করতেই গুজরাট পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করে।

দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দেগে বলেন, “বঙ্গভবন রাজ্যের সম্পত্তি। বিনা অনুমতিতে কেউ গেলে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন আইনের পথে চলবে। অনুমতি না নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে চাইতে পারে। কিন্তু অনুমতি না দেওয়ার পর বেআইনিভাবে দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনে ঢুকেছে। সব সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রে যারা বুলডোজার চালায় তাদের বলি, বুলডোজারের পরিবর্তে বুলডোজার নয়। তাদের ক্লোজার হবে।” সেদিনই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ মেনেই রাজ্যের তরফে দিল্লির চাণক্যপুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Previous articleউত্তরবঙ্গ নিয়ে কুৎসা-অপপ্রচারের মোক্ষম জবাব, উন্নয়নের খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
Next articleরাশিয়ার নতুন মানচিত্রে ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের ৪ অংশ, চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে