জোশীমঠ ধসে বেশি মানুষের ক্ষতি হয়নি! শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্তব্য ধামির

ভূমিধসের কারণে জোশীমঠে বিপর্যয়ের জেরে ভিটেহারা হয়েছেন বহু মানুষ। বিপর্যস্ত এলাকাবাসী। নিজের বাড়ি ছেড়ে শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানালেন,বেশি মানুষের ক্ষতি হয়নি!জোশীমঠ নিয়ে অযথা ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। সেখানকার মানুষ নিরাপদেই সাধারণভাবে জীবনযাপন করছেন। নিয়ম মেনেই চার মাস পরে চার ধাম যাত্রা শুরু হবে।

আরও পড়ুন:‘ডুবন্ত’ জোশীমঠ আরও অতলে যাচ্ছে! জানাল ইসরোর উপগ্রহ চিত্র

জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করানে ধামি। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জোশীমঠের ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ নিরাপদে রয়েছেন, স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। কাছেই রয়েছে আউলি। সেখানেও নিয়মিত বেড়াতে আসছেন পর্যটকরা। তাই জোশীমঠ নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও মানে হয় না। দেশের অন্যান্য প্রান্তে যারা বসে রয়েছেন, জোশীমঠ নিয়ে তাঁদের মন্তব্য করা সাজে না।”

মুখ্যমন্ত্রী ধামি জোশীমঠের বিশেষ ক্ষতি হয়নি বলে জানালেও, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জোশীমঠের মানুষদের অবস্থা বেহাল। ভিটে খুইয়ে অনেকেরই পাকাপাকি ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। মৃত্যুভয়েও বাড়ি ছেড়েছেন অনেকে। দেহরাদূনে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘শহরের পঁচিশ শতাংশ এলাকা এখন পর্যন্ত ভূমিধসে প্রভাবিত। এই এলাকাগুলিতে বসবসাকারী জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার।’’ শুধু তাই নয় , এর আগে উত্তরাখণ্ড সরকার নিজে থেকেই জোশীমঠকে ‘বসবাসের অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করেছিল।আর শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই বদলে গেল ধামির জবানবন্দি।

প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করে বিগত কয়েক দিনে জোশীমঠের ৮০০-রও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চওড়া ফাটল দেখা গিয়েছে শহরের রাস্তা-মন্দির-জমিতে। আতঙ্কে রাতারাতি ভিটেমাটি ছাড়া সেই শহরের বহু মানুষ। ঠাঁই হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে।এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।