শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam) সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই। তবে ১০ শতাংশ কমিশন (Commission) পেয়েছিলেন তিনি। জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন ইডির জালে ধৃত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তবে কোন ক্ষেত্রে মোট কত টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে তাও জেরার মুখে জানিয়েছেন কুন্তল। তবে প্রতিটি সংখ্যাই রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। তবে ইডি সূত্রে খবর তদন্তে ঠিকমতো সহযোগিতা (Co Operate) করছেন না কুন্তল। তবে আর কে বাকি টাকা পেয়েছিলেন বা তৃতীয় ব্যক্তি (Third Person) কে তা জানার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে কুন্তলকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে নথি বা ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালেই কুন্তলকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। বিকেলে তাঁকে আদালতে পেশ করে ইডির আইনজীবী জানান, ১৯ কোটি নয়, কুন্তলের ফ্ল্যাট থেকে ৩০ কোটির হিসাব পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকা নেওয়ার কথা নিজের মুখে স্বীকারও করেছেন কুন্তল। এরপরই কুন্তলকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠায় আদালত। শনিবার রাতভর জেরার পর ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া টাকার মাত্র ১০ শতাংশ কমিশন পেয়েছেন তিনি। বাকি ৯০ শতাংশ নিয়েছেন অন্য কেউ। তবে সেটা কে তা এখনও জানা যায়নি। জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন, প্রাথমিকে চাকরির জন্য মোট ১০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা, আপার প্রাইমারির জন্য ৩০ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা ও ২০১৪ সালের টেট পাশ করানোর জন্য মোট ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছিল। এছাড়া নবম ও দশম, একাদশ ও দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ ও গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি নিয়োগের জন্য বেশ কিছু টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কুন্তল ঘোষের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে একটি ছাই রঙের ডায়েরি ও একটি বড় মাপের নোটের খাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’টিতে মোট ৪৯ কোটি ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার লেনদেনের হিসাব রয়েছে। ওই ছাই রঙের ডায়েরিতে তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal) যে কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন, তার প্রমাণ মিলেছে।
