শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মূর্ছনায়  শ্রোতাদের মাতালো ‘অন্তরা’

গত ২৯ জানুয়ারি রবিবার সোদপুর লোকসংস্কৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত হল অন্তরা - পানিহাটির ৩২ তম শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর।

শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে পানিহাটির ‘অন্তরা’র যোগাযোগ নিবিড়। শুধু তাই নয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারার সঙ্গে তাল রেখে ‘অন্তরা’ বিগত ৩২ বছর ধরে নিরলস গবেষণায় ব্যস্ত তার ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে।

গত ২৯ জানুয়ারি রবিবার সোদপুর লোকসংস্কৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত হল অন্তরা – পানিহাটির ৩২ তম শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর।
বিকেল থেকেই উৎসাহী শ্রোতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। অভিনব আয়োজনে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে চমক দিয়ে ঠিক পৌনে ছটায় শুরু হলো গাছে জল দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা। উদ্বোধনে প্রধান শিক্ষক, পানিহাটি ত্রাণনাথ বিদ্যালয়ের সঞ্জিৎ বসাক ও সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্ৰখ্যাত তবলিয়া সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা জানান দিল সেদিনের শ্রোতাদের উপস্থিতি। সাধারণ সম্পাদক সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানালেন , বর্তমান প্রজন্মের আরও এগিয়ে আসা উচিত এই ভারতীয় রাগ সঙ্গীতের প্রসার ও প্রচারকল্পে। সাথে তিনি অতীতকেও স্মরণ করলেন তাঁদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের কথা বলে। অনুষ্ঠানের প্রথমেই ছিলো ক্লাসিকাল অর্কেস্ট্রশন। ভাবনা : সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, নির্দেশনা : পন্ডিত ইন্দ্রজিৎ ব্যানার্জী। সেতার, বাঁশি, সন্তুর, হারমোনিয়াম ও কণ্ঠ সঙ্গীতের মেলবন্ধন। রাগ : ইমন। কণ্ঠ সঙ্গীত পরিবেশনে পন্ডিত সঞ্জয় ব্যানার্জী। নির্বাচনে রাগ পুরিয়া কল্যাণ ও ইমন। অসাধারণ রাগদারী ও অত্যন্ত সুন্দর সার্বিক পরিবেশেনায় সকলের মন জয় করে নিলেন। তাঁকে তবলায় পণ্ডিত মিহির কুন্ডু ও হারমোনিয়ামে অনির্বান চক্রবর্তী যথাযথ সঙ্গত করেন।
পরে রূপক ভট্টাচাৰ্য তবলা লহড়া পরিবেশন করেন। তাঁকে হারমোনিয়াম সহযোগিতায় ছিলেন পন্ডিত হিরন্ময় মিত্র। সবশেষে মঞ্চে আসেন এই সময়ের একজন বিখ্যাত সেতার শিল্পী পন্ডিত অসীম চৌধুরী। রাগ নির্বাচনে তাঁর পছন্দ ছিলো মালকোষ।
পরতে পরতে তান করার সময় শ্রোতাদের হাততালি বুঝিয়ে দিয়েছে অনুষ্ঠানের গুণগত মান। তাঁকে তবলায় সহযোগিতায় করেন বিশিষ্ট তবলা শিল্পী তরুণ মজুমদার। অনেকদিন পর সোদপুরে অভূতপূর্ব শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠান করার জন্য অন্তরা কে ধন্যবাদ দিয়েছেন সবাই।