বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ কে হবেন তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। তালিকায় নানান নাম ভেসে উঠলেও চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
এর আগেও বাংলাদেশের কোচ হয়েছিলেন। সেবারও নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী কোচের দায়িত্ব ছেড়েই এসেছিলেন। ২০১৪ সালের মে মাসে শুরু হয় বাংলাদেশের কোচ হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদ। স্থায়ী হয়েছিলেন প্রায় ৩ বছর। কিন্তু বিচ্ছেদটা মোটেই সুখকর ছিল না।
কিন্তু বিধি বাম। শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের সময়টা মোটেও সুখকর হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর মোটা অংকের বেতন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী। বোর্ডের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝামেলা লেগেই ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বরখাস্ত করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
বাংলাদেশের কোচ হিসেবেও প্রথম মেয়াদে বিতর্কে জড়িয়েছেন হাথুরুসিংহে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় কিছু সাফল্য এসেছে তাঁর সময়েই। ২০১৫ সালে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিন ওয়ানডে ওয়ানডে জয়, সে বছরই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ছাড়াও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। আর তার নেপথ্যে ছিলেন তিনি। হাথুরুসিংহের সময় টেস্ট ক্রিকেটেও নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। মীরপুরে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয় এবং কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল।
তবে সাফল্য বিচারে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে প্রথম মেয়াদে হাথুরুসিংহেকে সফলই বলতে হবে। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের জন্য কোন সাফল্য এনে দিতে পারবেন তা সময়ই বলবে । আর সেদিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশের তামাম ক্রিকেটপ্রেমীরা।