‘রিমোর্ট ভোটিং’-এ ‘না’! চাপে পড়ে বিরোধীদের আপত্তিকে মান্যতা কেন্দ্রের

তৃণমূলের অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত সে নিয়ে কোনও সঠিক তথ্য নেই। যার ফলে অন্য রাজ্য থেকে কেউ ভোট দিলে সেখানকার শাসক দল ভোটারের প্রভাবিত করতে পারে।

কথা উঠলেও তা বাস্তবায়িত হল না। শেষমেশ ‘রিমোর্ট ভোটিং’ ব্যবস্থা (Remote Voting System) চালুর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠল মোদি সরকার (Modi Government)। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই রিমোর্ট ভোটিং সিস্টেম চালুর কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। আর তারপরই এই সিস্টেম নিয়ে আপত্তি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সহ একাধিক বিরোধী দল। তৃণমূলের অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labour) সংখ্যা কত সে নিয়ে কোনও সঠিক তথ্য নেই। যার ফলে অন্য রাজ্য থেকে কেউ ভোট দিলে সেখানকার শাসক দল ভোটারের প্রভাবিত করতে পারে। মূলত সেই আশঙ্কার কথাই তুলে ধরেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তারপরই বিরোধীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে চলতি বছরেই বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পাশাপাশি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও ব্যবহার হবে না রিমোর্ট ভোটিং ব্যবস্থা।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) লোকসভায় এই বিষয়ে জোর সওয়াল করেন। আর তারপরই নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক উদ্যোগ নিয়ে বিরোধী শিবিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। উল্লেখ্য, রিমোর্ট ভোটিং সিস্টেম চালু হলে, ভোট দেওয়ার জন্য দেশের যে কোনও প্রান্তে এমনকি বিদেশে বসেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ভারতীয় ভোটদাতারা। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘রিমোর্ট ভোটিং’-এর বন্দোবস্ত করতে সম্প্রতি উঠেপড়ে লেগেছিল কেন্দ্র। গত মাসে প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলিকে বিষয়টি হাতেকলমে দেখানোর জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ আপাতত বানচাল হয়ে গেল।

তবে বিরোধীদের আপত্তির জেরেই আরভিএম নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। সামনে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট এবং চব্বিশের নির্বাচনকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

 

 

Previous articleজামিয়াকাণ্ডের অভিযোগ খারিজ ! তবু জেলমুক্তি হল না শার্জিলের
Next article৭৮ বছর বয়সে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রাম