যাত্রী পরিষেবা দিতে ব্যর্থ রেল, ট্রেন বাতিলের লম্বা তালিকায় বাড়ছে ক্ষো*ভ !

আজ বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট শাখাতেও লোকাল ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলেই পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা (Rail Service)। রবিবার ছুটির দিনে বাতিল হাওড়া- বর্ধমান শাখার (Howrah Bardhaman Train)সমস্ত লোকাল ট্রেন। এই ঘটনা আজ নতুন নয়। কখনও সিগন্যালিং-এ বিভ্রাট কখনও ইন্টারলকিং-এর কাজ, রেলের একের পর এক বাহানার জেরে চরম দু*র্ভোগে সাধারণ যাত্রীরা (Daily Passenger)। বিক্ষোভ বাড়ছে নিত্য যাত্রীদের মনে।

প্রত্যেকদিন ট্রেনের গন্ডগোল, এটা যেন ভারতীয় রেলের(Indian Railways) চিরাচরিত অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। অফিস টাইমে ব্যাজার মুখে ট্রেনের জন্য হাপিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের মনে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে। রেলযাত্রীরা বলছেন দিনের প্রথমে যে ট্রেনটি ছাড়ে সেটি দেরিতে ছাড়া এবং গন্তব্যের দেরিতে পৌঁছানোর কারণে সারাদিন ধরেই রেল ব্যবস্থা চূড়ান্ত ভাবে অবিন্যস্ত থাকে। তার ওপর দুদিন ছাড়া ছাড়া একগুচ্ছ ট্রেন বাতিলের ঘোষণা। উড়ালপুলের মেরামতির কাজের কারণে রবিবার সারা দিন বন্ধ থাকবে হাওড়া এবং ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমানগামী সমস্ত ট্রেন। অন্যদিকে , আজ বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট শাখাতেও লোকাল ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলেই পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন মেরামতি তো আর একদিনে সম্পূর্ণ হবে না ? ফলে আগামীকাল সোমবার সপ্তাহের প্রথম ব্যস্ততম দিনেও এই ঘটনার আঁচ পড়বে। আতঙ্কিত হয়েছেন রেল যাত্রীরা কারণ ইতিমধ্যেই খবর এসে পৌঁছেছে যে সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত হাওড়া-বর্ধমান (কর্ড এবং মেন দুইই), ব্যান্ডেল-বর্ধমান, বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট এই সব ক’টি শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাতিল হাওড়া-বর্ধমান সব লোকাল ট্রেনই। কর্মব্যস্ত দিনে এভাবে একের পর এক ট্রেন বাতিল হলে অফিস তো সে কথা শুনবে না। ফলে মানুষ সঠিক সময় গন্তব্যে বা কর্মক্ষেত্রে পৌঁছবেন কী করে? প্রশ্ন উঠছে এত ট্রেন বাতিল হলে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা কি রেলের তরফে নেওয়া হয়েছে? এমনিতেই নির্ধারিত সময় থেকে বেশ খানিকক্ষণ দেরিতে ট্রেন হাওড়া স্টেশনে প্রবেশ করা বা হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়া সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।

অফিস যাত্রীরা বলছেন শুধুমাত্র বন্দে ভারতের মতো ট্রেন চালু করে দিলেই তো আর রেলের দায়িত্ব মিটে যায় না। সেক্ষেত্রে নিশানায় কেন্দ্রীয় সরকারও। যেভাবে পরিকল্পনাহীনভাবে দিনের পর দিন ট্রেন বাতিল হওয়ার ঘটনা ঘটছে, তাতে কার্যত রেলের চূড়ান্ত অপদার্থতাই ধরা পড়ছে সাধারণ মানুষের চোখে।

Previous articleবীরভূম বিস্ফো*রণে মৃ*ত্যু লাল্টুর, SSKM-এ গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস ফিরহাদের
Next articleTripura Election: বিপুল কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষায় জোর! নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বড় চমক তৃণমূলের