অনুব্রতর স্বস্তি, দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছোল ইডি মামলার শুনানি

দফায় দফায় জেরা করা হয় অনুব্ত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে।

ফের দিল্লি হাই কোর্টে পিছিয়ে গেল ইডির করা অনুব্রত-মামলার শুনানি। অর্থাৎ এখনই বীরভূম জেলার তৃণমূল (TMC) সভাপতিকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ ফেব্রুয়ারি।

গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। গত বছরের আগস্ট মাসে তাঁকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ মেলে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। দফায় দফায় জেরা করা হয় অনুব্ত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। এর ভিত্তিত CBI-এর পরে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডিও। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার সায়গল হোসেনের ঠাঁই হয়েছে তিহার জেলে। তাঁর সামনে বসিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে চেয়ে আবেদন করে ED। তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। পালটা দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হন অনুব্রত। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার বিচারপতি জানান, ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানিতে জামিনের আবেদন-সহ যাবতীয় আবেদন শোনা হবে।

গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জেল হেফাজতের সাজার মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ে। ফলে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। অর্থাৎ ১৭ তারিখ দু’টি আদালতে অনুব্রতর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।

 

Previous article৫০ বছর অতিক্রান্ত! যোগী রাজ্যে সরকারি ট্রেজারিতে ইন্দিরা গান্ধীর কয়েক লক্ষ টাকার রুপো
Next articleগ্রুপ ডি-র OMR শিট বিকৃতির ঘটনায় কেন FIR নয়? ফের সিবিআইকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের