এসএসসির গ্রুপ-ডির ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত

0
1

ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ। এবার এসএসসিকে গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।বিচারপতির পর্যবেক্ষণ,দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তারা চাকরি করছিলেন। বিচারপতি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’

আরও পড়ুন:দুর্নীতি ফাঁস করেই খুন মহারাষ্ট্রের সাংবাদিক, গ্রেফতার পেট্রো রসায়ন প্রকল্পের মালিক

এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যে নিয়োগের সুপারিশপত্রগুলি বাতিল করা হয়েছে, তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন হাইকোর্টে কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, ‘ওএমআর শিট পরীক্ষা করে সিবিআই এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে ২৮১৮ টি ওএমআর শিট, যারা কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ। চার জনে শনাক্ত করা যায়নি। ২৮২৩ নাইসার রেকর্ডে ছিল। এদের মধ্যে ১৯১১ জনের নম্বর এসএসসির সার্ভারে বেশি ছিল। এই ১৯১১ জনের সুপারিশ সঠিক ছিল না।’
কমিশনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার পর্যবেক্ষণে এই নিয়োগ সুপারিশ বেআইনি। যখন ফল প্রকাশিত হয়, তখন চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কমিশনের ডাটা রুম সুবীরেশবাবুর হাতেই ছিল। ফলে আদালতের বিশ্বাস করার কারণ আছে, তাঁর নির্দেশেই হয়েছে।’

এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই সময় এসএসসি-র চেয়ারম্যানের নাম জানতে চান। এসএসসি-র আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য।এরপরই তিনি বলেন, ‘‘সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিচ্ছি, কাদের কথায় এত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, অবিলম্বে তাঁদের নাম জানাতে। তাঁদের নাম জানাতে হবে, কারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত।’’ এর পরেই সুবীরেশকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এখন কোথাও নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ।
কমিশন তথ্য যাচাই করে আদালতে হলফনামা দিয়ে স্বীকার করে, ওই সব প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)-এ কারচুপি করে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমি কেন বলব? আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবেন নাকি মেনে নেবেন সে সিদ্ধান্ত নেবেন সুবীরেশ নিজেই।”

এসএসসি তালিকা প্রকাশের পরই কমিশনকে ১,৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। প্রয়োজনে ১,৯১১ জনকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন তিনি। শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পরই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই প্রার্থীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে এসএসসি। এ বার আইন মেনে চাকরি বাতিল করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।