ভোলেননি ‘পূর্বাশ্রম’! তৃণমূল কাউন্সিলরের জীবনযাত্রা দেখে মুগ্ধ সকলেই

তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, আমি তো বরাবরই সবজি বিক্রি করি। ভোটে জিতে কাউন্সিলর তো পরে হয়েছি। তার আগে থেকেই আমি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই সবজি আমি নিজেই চাষ করি। সেগুলিই পাইকারি বাজারে বিক্রি করি। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আমি এই কাজ করে আসছি।

কাউন্সিলর (Councilor) হলেও এতটুকু বদলে যাননি তিনি। আগেও যেমন ছিলেন জীবনযাত্রার মান কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হলেও একইরকম রয়েছেন তিনি। ওয়ার্ডের (Ward) পাশাপাশি দলের সমস্ত খুঁটিনাটি কাজ নিজে হাতে সামলালেও ভুলে যাননি তাঁর আগের জীবনকে। জনপ্রতিনিধি হলেও প্রতিদিন ভোরে সবজি বিক্রেতার (Vegetables Seller) ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় চন্দ্রকোণা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমর দলুইকে (Samar Dolui)। আর জনপ্রতিনিধির এমন প্রয়াসকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। কাউন্সিলর হলেও এখনও প্রতিদিন ভোর রাতে সবজির পসরা নিয়ে চন্দ্রকোণার (Chandrakona) রেগুলেটেড বাজারে পৌঁছে যান তিনি।

তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, আমি তো বরাবরই সবজি বিক্রি করি। ভোটে জিতে কাউন্সিলর তো পরে হয়েছি। তার আগে থেকেই আমি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই সবজি আমি নিজেই চাষ করি। সেগুলিই পাইকারি বাজারে বিক্রি করি। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আমি এই কাজ করে আসছি। পাশাপাশি এক সময় আমি রঙের কাজও করেছি। এখন সবজি বিক্রি সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওয়ার্ডে ঘুরে বাড়ি ফিরি। তারপর বাড়িতে স্নান খাওয়া সেরে পুরসভা যাই।

এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, মনের মতো কাউন্সিলর পেয়েছেন তাঁরা। দলের কাজ, এলাকার কাজ সামলেও নিজের পুরনো অভ্যাসকে ছাড়েননি তিনি। মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড। ভোটে জিতে এবার সেখানে কাউন্সিলর হয়েছেন স্থানীয় দলমাদল গ্রামের বাসিন্দা বছর চৌত্রিশের সমর দলুই। উল্লেখ্য, সমরের ছোট একটা পাকা বাড়ি রয়েছে। সামনের অংশ টিন দিয়ে ঘেরা। তাতে দু’টো ঘর রয়েছে। আর বাড়িতে মা, বাবা, স্ত্রী, দুই সন্তান রয়েছে। এছাড়াও মাঝে দু’বছর কোভিডে লকডাউনের সময় একটি অনলাইন সংস্থায় ডেলিভারি বয় (Delivery Boy) হিসাবেও কাজ করেছেন সমর। তবে তাঁর কথায়, যেখানেই পৌঁছন না কেন, সততাই তাঁর জীবনের মূল পুঁজি।

 

 

Previous articleআলিপুরের ইন্ডিপেন্ডেন্স মিউজিয়ামেই স্থানান্তিরত কলকাতার পুলিশ মিউজিয়াম
Next articleরাজনৈতিক মদতে হেনস্থা, এবার বিশ্বভারতীকে কড়া চিঠি অমর্ত্যর আইনজীবীর