সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। আর তার আগেই রাজ্যজুড়ে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি ও মেরামতের সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন (Nabanna)। শনিবার মুখ্যসচিব (Chief Secretary) এইচ কে দ্বিবেদীর উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে মুখ্যসচিব নিজে বিষয়টিতে সম্মতি দিয়েছেন। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সব জেলাশাসক ও পঞ্চায়েত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, দিন ঘোষণা হওয়ার পর সরকারের তরফে কোনও কাজ শুরু করা যায় না। আর সেকারণেই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেভাগেই রাস্তা তৈরি ও মেরামতির কাজ সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য।

উল্লেখ্য, ছোট রাস্তা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিকে। মাঝারি রাস্তা তৈরি করবে জেলা পরিষদ। আর বড় রাস্তা তৈরি করার দায়িত্ব রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার হাতে। তবে কাজ শুরুর সময় এবং শেষ করে ছবি পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য জুড়ে মোট ১০ হাজার ৬০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে ভাঙা রাস্তা মেরামতের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। শনিবারের বৈঠকে এডিএম (ADM), জেলাপরিষদ এবং বিডিওরা (BDO) উপস্থিত ছিলেন। তবে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, রাস্তা তৈরির এই টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে। পাশাপাশি কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলার সময় কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়া চলবে না। এছাড়াও রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে উপকরণের গুণমানের দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে।

অন্যদিকে রাস্তার কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য প্রতিটি ব্লকে একজন করে আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি এই কাজ চলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজ এবং গ্রামোন্নয়নের কাজ বন্ধ রাখা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
