‘কলঙ্কের চাকরি কেন বাতিল হবে না’, কারণ দর্শাতে ৭ দিনের সময়সীমা বিচারপতি বসুর

নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘ভুয়ো’ জাতিগত শংসাপত্রের ব্যবহার মামলায় ফের কড়া অবস্থান  হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, ‘কলঙ্কের চাকরি বাতিল হবেই।যাদের চাকরি বাতিল হবে সেই জায়গায় অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা থেকে চাকরি পাবেন যোগ্য ও মেধাবীরা’।শুধুমাত্র এখানেই থেমে না থেকে এদিন জাল শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দিলেন তিনি।

শুনানির শেষে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, সাত দিনের চূড়ান্ত সময় দেওয়া হল জাল শংসাপত্রে চাকরি প্রাপকদের।এই সাত দিনের মধ্যে জাতি শংসাপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করতে হবে তাঁদের।এমনকী তাঁদের জানাতে হবে, কেন তাঁদের চাকরি বাতিল করা হবে না। এরই পাশাপাশি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকেও আলাদা করে চাওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের জয়েনিং রিপোর্ট।রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টেও সন্তুষ্ট নন তিনি।

রীতিমতো কড়া সুরে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, সাংবিধানিক ক্ষমতার এই কায়দায় অপব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। যে কেউ আসবে আর ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে চলে যাবে! আর যোগ্যরা পিছনের সারিতে বসে হাত গুনবে। আসলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২২-এর ২৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে আসে, স্কুলের নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে ‘ভুয়ো’ জাতিগত শংসাপত্র। সংশ্লিষ্ট জেলার মহকুমা শাসক সেকথা কলকাতা হাইকোর্টে স্বীকারও করে নেন। এরপরই ৫৫ ওবিসি সার্টিফিকেট জাল থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ৩২ জনের রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ে।এদের মধ্যে ৪ জনের ওবিসি সার্টিফিকেটে জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। হাই কোর্ট ওই চার জনেরই ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়।

ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক আদালতে স্বীকার করে নেন যে মণ্ডল পদবি তফশিলি জনজাতি নয়। জাতি শংসাপত্রটি ভুল করে দেওয়া হয়েছে। বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। লালবাগের মহকুমাশাসকও স্বীকার করে নেন, মাহাত পদবিধারী ব্যক্তিকে ভুল করে এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।তিনি ৬টি সার্টিফিকেট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।বাতিল প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।