ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটির পাশে সুপার শক্তি ফাউন্ডেশন

ভ্যালেন্টাইন্স ডে, মানে ভালবাসার প্রতি উদযাপন, আবেগ ভরা একটি দিন। আর এই দিনটি শুধু প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য, তা কিন্তু নয়। মানুষ হিসাবে মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেয়।  এমনই ভাবনায় দৃঢ় বিশ্বাস করে সুপার শক্তি ফাউন্ডেশন। সাই গ্রুপের এই সিএসআর শাখা “মানবতা” প্রকল্পের মাধ্যমে এমন দিনে মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটিকে একটি অনুদান পত্র তুলে দেয়।এই বিশেষ দিনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটি হাসপাতালে। উপস্থিত ছিলেন সাই গ্রুপের চেয়ারম্যান সীতারাম আগরওয়াল, সাই গ্রুপের প্রধান পরামর্শদাতা  গোপাল কৃষ্ণ সারণ, মারোয়ারি রিলিফ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের জয়েন্ট সেক্রেটারি  গোবিন্দ রাম এবং সিএসআর নোডাল অফিসার শ্রী ইশান্ত জৈন। তাদের উপস্থিতিতে ২ লক্ষ টাকার অনুদান মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটি ১১০ বছরেরও বেশি পুরানো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসাবে আজও  কলকাতার দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসার জন্য অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সুপার শক্তি ফাউন্ডেশন থেকে এই ২ লক্ষ টাকার অনুদান হাসপাতালটিকে দরিদ্র মানুষের জন্য চোখের অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম ও আধুনিক চিকিৎসার যন্ত্র কিনতে সহায়তা করবে। এটি হাসপাতালটিকে সমাজের অর্থনৈতিকভাবে কম সুবিধাভোগী মানুষের চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করতে সক্ষম হবে।

সাই গ্রুপের চেয়ারম্যান সীতারাম আগরওয়াল বলেন, “সুপার স্মেল্টারস লিমিটেড হল একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট সংস্থা যেখানে আমরা কাজ করে চলেছি। আমরা সমাজের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই অনুদান শতাব্দী প্রাচীন মাড়োয়ারি রিলিফ সোসাইটিকে বহু দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা করার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।

যাদের মানসম্পন্ন চিকিৎসার প্রয়োজন কিন্তু এই ধরনের চিকিৎসার সামর্থ্য রাখে না এবং কম সুবিধাপ্রাপ্ত দরিদ্রদের জন্য এই অনুদান কিছুটা সহায়তা করবে। সুপার শক্তি ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে ভালবাসা মানুষের কাছে শক্তি, যা আমাদের সকলকে একটি সুতোয় বেধে রাখে। তাই মানুষের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। আর ভ্যালেন্টাইনস ডে হল সমাজের জন্য এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সেরা দিন”।

সুপার শক্তি ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হল , উন্নত স্বাস্থ্যের সাথে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন করা এবং মূল ক্ষেত্রে এক মজবুত উন্নয়নকে উত্সাহিত করা।
খেলাধুলা, শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচারের জন্য উন্নত জীবিকার বিকল্প তৈরি করার পাশাপাশি নাগরিক পরিকাঠামোকে আরো উন্নয়নের পথে পরিচালনা করা।

 

Previous articleনন্দীগ্রামে সাইকেলে চেপে জনসংযোগ কুণালের, শুভেন্দুকে ”ভেজাল হিন্দু” বলে কটাক্ষ
Next articleICC এর উদ্যোগে শিল্পের বিকাশে সবুজ উন্নয়নের দিশা