হকি ডার্বি ঘিরে মহামেডান মাঠে র*ণক্ষেত্র, হা*তাহাতিতে জড়ালেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা

মাঠে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।

হকি ডার্বি ঘিরে মহামেডান মাঠে রণক্ষেত্র। এদিন হকি লিগে মুখোমুখি হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। আর সেই ম‍্যাচকে কেন্দ্র করে মহামেডান মাঠ নিল রণক্ষেত্র। হাতাহাতিতে জড়ালেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকরা। আহত হয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিকও।

দু’দশকেরও বেশি সময় পর হকি লিগে বড় ম‍্যাচের প্রত‍্যাবর্তনে এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন দু’দলের ক্লাব কর্তারা। মাঠে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। ম‍্যাচ শুরু হয় যথাযথ সমই। মোহনবাগান সমর্থকদের বসার জন্য গ্যালারির একটি নির্দিষ্ট অংশ ধার্য হয়েছিল। সেই গ্যালারির সামনের দিকেই লাল-হলুদ কর্তাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। ম‍্যাচের ১২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এরপরই শুরু হয় গণ্ডগোল। অভিযোগ, ম্যাচ চলাকালীন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের দিক থেকে কটূক্তি উড়ে আসে। ফুটবলের নানা বিষয় নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের কটাক্ষ করা হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও অভিযোগ পুরনো একটি বাতিল হওয়া আইলিগের ডার্বি ম্যাচের টিকিটের দাম ফেরত চায় মোহনবাগান সমর্থকেরা। বাগান সমর্থকদের পাল্টা দিতে ছাড়েননি লাল-হলুদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে থাকা সদস্য-সমর্থকরাও। আর এই বচসার পরই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। একে অপরের দিকে জলের বোতল, ইট ছুঁড়তে থাকেন দুই দলের সমর্থকরা। বচসা গড়ায় হাতাহাতি। এরপর মাউন্টেড পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ম‍্যাচ। এরপর ম‍্যাচ শুরুর ব‍্যবস্থা করলেও খারাপ আলোর জন‍্য ম‍্যাচ আর শুরু করা যায়নি।

আরও পড়ুন:অজিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম‍্যাচ জিতে কী বললেন রোহিত?