মিশন ২০৩৬ অলিম্পিক। তার আগে ২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমস (2030 Commonwealth Games) আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েছে আইওএ (IOA)। কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা (Indian Olympic Association)। বুধবার এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়ে গিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য গত কয়েক বছর ধরেই সক্রিয় ভারত। গেমস আয়োজনের আবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। আহমেদাবাদে (Ahmedabad ) এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিরাট গেমস ভিলেজ তৈরি করা হচ্ছে গুজরাটের রাজধানী শহরে। এই শহরেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। ৭২টি দেশের প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
৭২টি দেশের অ্যাথলিটদের অংশগ্রহণে এই গেমস হবে আন্তজার্তিক মেলবন্ধনের এক বৃহৎ মঞ্চ। কয়েক হাজার অ্যাথলিট, তাদের কোচরা যেমন আসবেন তেমনই অংশগ্রহণকারী দেশের সমর্থকরাও আসবেন। ফলে এই ইভেন্টের মাধ্যমে ভারতে পর্যটনের প্রসার ঘটবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গতি আনবে, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের। এটি শুধু একটি ক্রীড়া উৎসব নয়, বরং ক্রীড়া বিজ্ঞান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ব্রডকাস্টিং, আইটি এবং জনসংযোগ, পর্যটন-সহ বহু খাতে কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলবে। এর পাশাপাশি, দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে ক্রীড়া ও অ্যাথলেটিক কেরিয়ারের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
সম্প্রতি কমনওয়েলথ গেমসের ডিরেক্টর ডারেন হল গুজরাটের রাজধানী শহরে এসেছিলেন। পরিকাঠামো পরিদর্শনের পাশাপাশি গুজরাট প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের শেষে আরও একটা বড় প্রতিনিধি দল আসতে পারে।
আরও পড়ুন: ফেডারেশনের ব্যর্থতায় সংকটে ভারতীয় ফুটবল! ক্লাবগুলির এএফসি ম্যাচে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত
এর আগে ২০১০ সালে দিল্লিতে (Delhi) কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games) আয়োজন করেছিল ভারত। সেটাই ছিল প্রথম। তবে সেবার অব্যবস্থা এবং আর্থিক দুর্নীতির জন্য সমালোচিত হয়। গেমস ভিলেজ, স্টেডিয়াম-সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরিতে অনেক দেরি হয়, বাজেট বেড়ে যায়, নেহরু স্টেডিয়ামে ফুটব্রিজ ভাঙায় অনেক শ্রমিক আহত হন। যদিও ভারত আয়োজনের দায়িত্ব পেলে রাজধানী দিল্লি নয় গেমস আয়োজিত হবে আহমেদাবাদে।
–
–
–
–