রাম-বামে দোস্তি! শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ শ্যামলের হয়ে জোর সওয়াল বিকাশ ভট্টাচার্যের, জামিন মঞ্জুর

যদিও বিকাশ আইনজীবী হিসেবেই এই মামলা লড়ছেন বলে সাফাই দিয়েছে বামেরা। তবে, এতে অন্য সমীকরণই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

রাম-বামে দোস্তির প্রমাণ মিলেছিল রাজ্যের বিভিন্ন সমবায়ে নির্বাচনে। হাতে হাত মিলিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে সরানোর ব্যবস্থা করেছিল. কিন্তু রাজনৈতিক আঙিনার বাইরেও এই সক্ষ্যতা স্পষ্ট। শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের (Shyamal Adak) জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সওয়াল করলেন বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikashranjan Bhattacharya)। এদিন শ্যামলের জামিন (Bail) মঞ্জুর করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

গত ডিসেম্বরে সুতাহাটার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় শ্যামল আদককে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চে শ্যামল আদকের জামিন মামলার শুনানিতে বিকাশ ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণেই শ্যামলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ৭২ দিন হল বন্দি। রাজ্যের তরফে পাল্টা জামিনের বিরোধিতা করা হয়। হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকার সময় টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল শ্যামল আদকের। দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শ্যামলকে গ্রেফতার করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবে পর শ্যামল আদকের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে এখন হলদিয়া পুরসভা এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। সপ্তাহে একদিন করে এলাকার থানায় হাজিরা দিতে হবে শ্যামল আদককে। তবে, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শ্যামলের জামিনের জন্য যেভাবে লড়েছেন বিকাশ, সেই তৎপরতা দেখা যায়নি তাঁদের জোটের বিধায়ক নওশাদের জামিনের জন্য। তিনি এখনও পুলিশ হেফাজতে। যদিও বিকাশ আইনজীবী হিসেবেই এই মামলা লড়ছেন বলে সাফাই দিয়েছে বামেরা। তবে, এতে অন্য সমীকরণই দেখছে রাজনৈতিক মহল।