একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা! স্বামী এবং শাশুড়িকে খুনের পর কেটে টুকরো টুকরো করে দেহাংশ রাখা হল ফ্রিজের মধ্যে। গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছেন এলাকার লোকজন। এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বন্দনা কালিতা নামের এক মহিলাকে।জানা গিয়েছে, বিয়ের পরে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বন্দনা।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে,প্রেমিককে সঙ্গে নিয়েই বন্দনা ওই খুন করেন। তারপরে তাঁদের দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। দেহাংশ রাখা হয় ফ্রিজের মধ্যে। খুনের তিনদিন পরে সেই দেহাংশ পুঁতে ফেলা হয়েছিল।পুলিশ জানিয়েছে, বন্দনা তাঁর প্রেমিক এবং আরও একজন বন্ধু মিলে ওই খুন করে । তাদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন বন্দনার স্বামী অমরজ্যোতি দে এবং শাশুড়ি শঙ্করী দে-কে। বন্দনা চেয়েছিলেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে।এই জন্য প্রেমিকের সঙ্গে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, গত বছর অগাস্ট মাস থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অমরজ্যোতি দে এবং শঙ্করী দে।বন্দনা কালিতাকে গ্রেফতার করার পরেই হাড়হিম করা ঘটনা জানতে পারে পুলিশ।পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই দুজনকে খুন করতে বন্দনাকে সাহায্য করেছিল অরূপ ডেকা এবং ধনজিৎ ডেকা নামের দুজন। তাঁরা ওই খুনের পরে দেহ মাটিতে পুঁতে দিতে সাহায্য করেছিলেন।

বন্দনাকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাঁকে পানবাজার মহিলা থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গুয়াহাটির পুলিশ।পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে বন্দনা। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, দুজনকে খুন করার পরে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। তারপরে একটি ফ্রিজের মধ্যে রাখা হয় ওই টুকরোগুলি। তিনদিন পরে, অরূপ ডেকা এবং ধনজিৎ ডেকার সাহায্য নিয়ে দেহাংশ নিয়ে যাওয়া হয় মেঘালয়ে। সেখানে আলাদা আলাদা জায়গায় দেহাংশ পোঁতা হয়।তাদের জেরা করে খুনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
