Wednesday, May 14, 2025

Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খু*নের পর বাড়িতে সত্যনারায়ণ পুজোও করে বন্দনা

Date:

অসমে(Assam) স্বামী এবং শাশুড়িকে খুনের পর দেহ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে এসেছিল স্ত্রী বন্দনা কলিতা(Bandana kalita)। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই বন্দনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ(Police)। এবার প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, স্বামীকে খুনের পর সেখানেই ঘটা করে সত্যনারায়ণ পুজো করে বন্দনা কলিতা। শুধু তাই নয় এই খুনের ঘটনায় তাকে সাহায্য করে বন্দনার প্রেমিক ধাঁতি কলিতা এবং বন্ধু অরূপ দাস।

পুলিশ সূত্রে খবর, ৩২ বছরের বন্দনা পেশায় জিম প্রশিক্ষক। ঠান্ডা মাথায় প্রথমে শাশুড়ি শঙ্করী দে এবং পরে স্বামী অমরজ্যোতি দে’কে খুন করে বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ধাঁতি নামে যুবকের সঙ্গে বন্দনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই খুন কি না খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, ২৬ জুলাই গুয়াহাটির চাঁদমারি এলাকায় বন্দনার শাশুড়ি শঙ্করীকে প্রথমে খুন করা হয়। সেখানে ২ কামরার ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন শঙ্করী। বন্দনা এবং অরূপ প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে শঙ্করীর শ্বাসরোধ করেন। তার পর রোলিং পিন দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। শঙ্করীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ৫ টুকরো করে পলিথিনের ব্যাগে ভরা হয়। এবং দেহাংশগুলি ধাঁতির গাড়িতে তোলা হয়। ২৭ জুলাই সেই দেহাংশগুলি মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভোররাতে ফেলে দেয় ধাঁতি। ইতিমধ্যেই শঙ্করীর দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনও বন্দনার স্বামী অমরজ্যোতির দেহাংশের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের ১৭ অগস্ট স্বামী অমরজ্যোতিকে খুন করেছিল বন্দনা। নারেঙ্গিতে তাঁরা থাকতেন। সেখানে ধাঁতি এবং অরূপের সাহায্যে লোহার রড দিয়ে স্বামীকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ বন্দনার বিরুদ্ধে। খুনের পর অমরজ্যোতির দেহও টুকরো করা হয়। তার পর তা লোপাট করে অভিযুক্তরা। তবে খুনের পর দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রাখেনি বন্দনা। প্রথমে পুলিশ জানিয়েছিল, দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, খুনের পর স্বামী এবং শাশুড়ির নামে নুনমাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বন্দনা। এরপর গত ২১ নভেম্বর বন্দনার শাশুড়ির এক আত্মীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, শঙ্করীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এর পর আবার পুলিশের দ্বারস্থ হন বন্দনা। তিনি অভিযোগ কেন যে, তাঁর শাশুড়ির ভাই ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়েছেন। এর পরই সন্দেহ হয় পুলিশের। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কমিশনারের দফতরে গিয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান বন্দনা। পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, শঙ্করীর অ্যাকাউন্ট থেকে বন্দনাই টাকা তুলেছেন। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় বন্দনাকে। ধরা পড়ে তার দুই সঙ্গীও।

এদিকে পুলিশের দাবি, খুনের পর অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই জীবন কাটাচ্ছিল বন্দনা। নারেঙ্গির যে বাড়িতে স্বামীকে খুন করেছিলেন, সেখানেই গত অক্টোবর মাসে সত্যনারায়ণের পুজো করেছিলেন সে। পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন বন্দনার বাবা-মা। এমনকি, ওই বাড়িতে নির্মাণকাজও করানো হয়।

Related articles

সন্ত্রাসবাদ রোখার সময় শান্তি চেয়ে পথে! বাম মিছিলে ইন্দিরা-স্তূতি

গোটা দেশ একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থনের পথে গিয়েছে সিপিআইএম (CPIM) কেন্দ্রীয়...

আন্টি ও মনে হয় আর নেই: আকুল হয়ে রিঙ্কুকে ফোন করেন প্রীতমের বান্ধবী

যে ফোনটি পেয়ে উদভ্রান্তের মতো ছুটে গিয়েছিলেন সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর মা রিঙ্কু মজুমদার, সেটি করেছিলেন তাঁর বান্ধবী। ফোনে তিনি...

রাজ্যের পরিবহনে নতুন দিশা! à§§ কোটিরও বেশি যাত্রা সম্পূর্ণ ‘যাত্রী সাথী’র  

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হওয়া অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব পরিষেবা ‘যাত্রী সাথী’ ইতিমধ্যেই ১ কোটিরও বেশি সফল যাত্রা সম্পূর্ণ করেছে।...

রেকর্ড রূপান্তরকামীদের! সিবিএসই দশম-দ্বাদশের ফল প্রকাশ, এগিয়ে মেয়েরাই 

একইসঙ্গে প্রকাশিত হল সিবিএসই দশম ও দ্বাদশের ফল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল সেন্ট্রাল বোর্ড...
Exit mobile version