গত বছরের অগাস্ট মাসেই মন্দিরের গর্ভগৃহে খসে পড়েছিল দেওয়াল। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেবায়েতদের মধ্যে। ফের নতুন করে ফাটল দেখা দিল পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple)। মন্দিরের নাটমন্দিরে দেখা গিয়েছে ফাটল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্নের মুখে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (Archeological Survey of India) ভূমিকা। সংস্কারের কাজের পরও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে নাটমণ্ডপের সংস্কারের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে এএসআই-এর (ASI) তরফে। তবে যে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ গত ৫ বছরে করা যায়নি, তা এই ক’মাসের মধ্যে কী ভাবে করা সম্ভব, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্নে মন্দিরের সেবায়েতরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নাটমণ্ডপ সংস্কারের কাজ শেষ করতে এএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছিল ওড়িশা হাইকোর্ট (Odissa High court)। ৪ মাসের মধ্যে মন্দিরের নাটমণ্ডপ সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে কাজও সম্পন্ন হয়। পরে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মন্দিরের ফাটল খতিয়ে দেখেছিলেন এএসআই এবং আইআইটি চেন্নাইয়ের বিশেষজ্ঞরা। তারপরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে সন্দিহান মন্দির কমিটি। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও।
