আগামিকাল মেঘ রাজ্যে পালাবদলের ভোট! হাড্ডাহাড্ডি লড়া*ইয়ে NPP- BJP-TMC

প্রথম থেকেই প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে প্রচারে - প্রভাবে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিটি জনসভা-রোড শোতে উপচে পড়েছে ভিড়।

মেঘালয়ে আগামিকাল বিধানসভা নির্বাচন (Meghalaya Assembly Election)। মেঘ রাজ্যে নতুন সূর্যোদয়ের ডাক দিয়েছে সে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল তৃণমূল। সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন নাগাল্যান্ডেও। তবে, বাংলার নজর বেশি মেঘালয়ের (Meghalaya) দিকেই।

৬০ বিধানসভা আসনের মেঘালয়ে ভোট। গত পাঁচ বছরে NPP- BJP জোট মেঘালয়ে সরকার চালালেও শেষ বেলায় এসে সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে। সব আসনেই আলাদা প্রার্থী দিয়েছে এনপিপি-বিজেপি। যদিও ভোটের ফল বেরনোর পরে ঘোড়া কেনাবেচায় আবার জোট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে মেঘালয়ে শুধু সীমাহীন দুর্নীতি ছাড়া উন্নয়নের ছিঁটেফোঁটাও হয়নি। গত দেড় বছর আগে মেঘালয়ে তৃণমূলের যাত্রা শুরু হয়। মুকুল সাংমা-চার্লস পিনগ্রোপ-জেমস্ লিংডো- মানস ভুঁইয়াদের সামনে রেখে সংগঠন তৈরির কাজে হাত দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেড় বছর বাদে মেঘালয়বাসী তাকিয়ে সেই তৃণমূলের দিকেই।

প্রথম থেকেই প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে প্রচারে – প্রভাবে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিটি জনসভা-রোড শোতে উপচে পড়েছে ভিড়। গারো- খাসি- জয়ন্তীয়ার পাহাড়ি এলাকায় এখন ঘরে ঘরে তৃণমূল (TMC)। তৃণমূল ঝড়ের মোকাবিলা করতে শিলং টাউনে প্রধানমন্ত্রীকে রক কনসার্ট থেকে রোড শো কী না করতে হয়েছে। কংগ্রেস মুখে বড় বড় কথা বললেও মেঘালয়ে তারা কোথায় কে জানে! বাকি দু একটা ছোট রাজনৈতিক দল পিডিএফ-ইউডিএফ তাদের মতো ছোট পরিসরে লড়াই করছে। কিন্তু মূল লড়াইটা এখানে এনপিপির র সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের। পিছনে রয়েছে বিজেপি। এখন মেঘরাজ্যে বাসিন্দারা কাদের উপর আস্থা রাখলেন তার জবাব মিলবে ২ মার্চ নির্বাচনী ফল প্রকাশ হলে।