রাজ্যপালের সচিব কে? ৩ আধিকারিকের তালিকা পাঠাল নবান্ন, কার নামে সিলমোহর!

গত বছর নভেম্বরে পশ্চিবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হন সিভি আনন্দ বোস। প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্বে থেকে যান নন্দিনী। রাজ্যপাল রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত আমলা এনে উপদেষ্টা মণ্ডলি তৈরি করছেন।

প্রোটোকল অনুযায়ী, রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিন আধিকারিকের নামের তালিকা পাঠাল নবান্ন। এই তিনজনের মধ্যে একজনকে নিজের সচিব হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা রাজভবনের। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সচিব হিসেবে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্য (Atri Bhattacharj), শ্রম দফতরের সচিব বরুণকুমার রায় (Barunkumar Ray) এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনের (Ajitranjan Bardhan) নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হলে দিল্লি চলে যান তাঁর প্রধান সচিব সুনীলকুমার গুপ্ত । দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতির প্রধান সচিব হন তিনি। এই সময়ে পশ্চিবঙ্গের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেন লা গণেশন। তখন তাঁর প্রধান সচিব হন ১৯৯৪ ব্যাচের আইএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী। এর পর গত বছর নভেম্বরে পশ্চিবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হন সিভি আনন্দ বোস। প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্বে থেকে যান নন্দিনী। রাজ্যপাল রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত আমলা এনে উপদেষ্টা মণ্ডলি তৈরি করছেন। আর তাতে পদ্ধতিগত আপত্তি তোলার কারণেই রাজভবন থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরে যেতে হয় বলে প্রশাসনিক মহলের দাবি। যদিও সরকারি ভাবে এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি নবান্নের তরফে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয় রাজভবন। বর্তমানে নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty) পর্যটন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী রাজ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের সুসম্পর্ক চক্ষুশূল হয় বিজেপির। এই নিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয় নন্দিনীকে।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের পর থেকেই জল্পনা তৈরি হয় রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনীকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি নন্দিনীর বদলি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। এটা প্রশাসনিক বিষয়। সুতরাং এই বিষয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি তৃণমূল (TMC)। তবে, মহিলা সচিবকে অপমানজনকভাবে সরানো রাজ্যপালের কাছে কাম্য নয় বলে মত জানায় শাসকদলের। এবার ফের তিন আমলার নাম পাঠাল নবান্ন। এর মধ্যে কোন নামে সিলমোহর পড়ে সেটাই দেখার।

 

 

Previous articleবন্ধু পুলিশ! গ্রিন করিডর করে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিবিএসই-র পরীক্ষার্থী
Next articleবিধানসভায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা শুভেন্দুর অনাস্থা প্রস্তাব পেশ ৬ মার্চ