বন্ধু পুলিশ! গ্রিন করিডর করে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিবিএসই-র পরীক্ষার্থী

তবে সৌম্যাশিসের অদম্য জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় পরিবার। শত কষ্ট উপেক্ষা করে ছেলের মনের জেদের কাছে কার্যত হার মানতে বাধ্য হয় বাবা। হাসপাতালের বেডে শুয়েই বাবার কাছে ছেলের কাতর আর্জি যে করেই হোক তাকে পরীক্ষার হলে বসতে দেওয়া হোক।

ফের পরীক্ষার্থীর (Examinee) বিপদের কথা শুনে পাশে দাঁড়াল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বারবারই একের পর এক জনসেবামূলক কাজ করে নজির গড়েছে কলকাতা পুলিশ। আরও একবার সেই নজির সামনে এল। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে সিবিএসই (CBSE) দশম শ্রেণীর পরীক্ষা। এবছর পরীক্ষা দিচ্ছে কসবার (Kasba) বাসিন্দা সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের (South High School) ছাত্র সৌম্যাশিস দত্ত (Soumashis Dutta)। কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই লিভারের সমস্যা (Liver Problem) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৌম্যাশিস। তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও ছাত্রের কাতর আর্জি যেকোনও উপায়ে তাকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। আর ছাত্রের অদম্য মনের ইচ্ছাকেই অগ্রাধিকার দিতে এবার এগিয়ে এল কলকাতা পুলিশ।

তবে সৌম্যাশিসের অদম্য জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় পরিবার। শত কষ্ট উপেক্ষা করে ছেলের মনের জেদের কাছে কার্যত হার মানতে বাধ্য হয় বাবা। হাসপাতালের বেডে শুয়েই বাবার কাছে ছেলের কাতর আর্জি যে করেই হোক তাকে পরীক্ষার হলে বসতে দেওয়া হোক। এরপরই বাবা স্নেহাশিস দত্ত কোনও উপায় না দেখে যোগাযোগ করেন কসবা ট্রাফিক গার্ডের (Kasba Traffic Guard) ওসি ইনস্পেক্টর অমরেশ ঘোষের সঙ্গে। এরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কলকাতা পুলিশ।

এরপরই বাইপাসের কাছের একটি হাসপাতাল থেকে বালিগঞ্জের সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলে পৌঁছে দেন ইনস্পেক্টর অমরেশ ঘোষ এবং সাউথ ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের ইনস্পেক্টর আশিস রায়। এদিন অ্যাম্বুলেন্সে করে পাইলট সমেত ‘গ্রিন করিডর’ করে সৌম্যাশিসকে যথাসময়ে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। রাসবিহারী কানেক্টর ধরে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে স্কুলে অ্যাম্বুলেন্সে করে পৌঁছে যায় দশম শ্রেণীর ছাত্র। জানা গিয়েছে, পাইলট হিসেবে সঙ্গ দেন কসবা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সুজয় কুমার সাহা ও সাউথ ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট দেবজ্যোতি বিশ্বাস। আর সৌম্যাশিসের এমন দৃঢ়চেতা মনোভাব ও সঙ্কল্পকে কুর্নিশ জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি সৌম্যাশিসের বাবা। এদিন পরীক্ষার পর ফের হাসপাতালে ফিরে গিয়েছে ছাত্রটি।

উল্লেখ্য, গত শনিবারই নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা এক ছাত্রীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেক্টর শৌভিক চক্রবর্তী। গাড়িতে করে নিরাপদে মেয়েটিকে পৌঁছে দেন পরীক্ষা হলে।

 

 

 

Previous articleদূর থেকে প্রেম করলেও অনায়াসে মিলবে প্রিয়জনের ঠোঁটের উষ্ণতা! কীভাবে?
Next articleরাজ্যপালের সচিব কে? ৩ আধিকারিকের তালিকা পাঠাল নবান্ন, কার নামে সিলমোহর!