নবম-দশমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিলে কোনও স্থগিতাদেশ নয়, নির্দেশ বিচারপতি বসুর

ইতিমধ্যেই নবম-দশম শিক্ষক পদে ৯৫২ জনের মধ্যে, ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েও দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।এর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন তাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু স্পষ্ট জানিয়েছেন,  এসএসসি ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র প্রত্যাহারের যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তার ওপর এখনই কোনও স্থগিতাদেশ নয়।

নবম-দশম মামলায় বুধবারই রায় দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই গতকাল ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করে কমিশন। আজ, বৃহস্পতিবার নতুন করে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান ৯৫২ জনের একাংশ। যদিও দ্রুত শুনানি সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি বসু।

এর আগে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন  নবম ও দশমের ওই ৯৫২ জন শিক্ষক। বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নয়। মামলা ফেরত পাঠানো হয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চে। তার সঙ্গে আরও ১৩ জন শিক্ষককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ আদালতে জানিয়ে দেয়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত।

২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টে সিবিআই দাবি করে, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, এসএসসি-র সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও ৫৩! হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ৯৫২টি ওএমআর  শিট প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই সব ওএমআর শিট। অবশ্য সেই ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ৯৫২ জন চাকরি প্রাপকের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎগঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি, একসপ্তাহের মধ্যে এঁদের সুপারিশ পত্র বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন ৯৫২ জনের একাংশ। সেই মামলারই শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ১৩ জন শিক্ষককে যুক্ত করতে হবে মামলায়। শুনানি হবে সিঙ্গল বেঞ্চেই। তারপরে ফের আজ নতুন করে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান ৯৫২ জনের একাংশ। যদিও দ্রুত শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি বসু।

 

Previous articleনির্বাচন কমিশনার নিয়োগে ‘ঐতিহাসিক’ সুপ্রিম রায়! স্বস্তি বিরোধী শিবিরে
Next articleবিজেপি যেন ‘টাকার গদি’, আয়ের নিরিখে ফের দেশের ধনী দল ‘পদ্ম’